রানীর সঙ্গে মাশরাফির যত কথা

ক্রীড়া ডেস্ক

৩১ মে, আজই শেষ হয়ে যাচ্ছে বছরের পঞ্চম মাসটি। কিন্তু ইংল্যান্ডের এ মুহূর্তে প্রচলিত জোকস- মে’র বিদায় হতে এবার আরও সাত দিন লাগবে! ৭ জুন বিদায় নেবেন প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে। এ নিয়ে এখানে একটা টেনশন কাজ করছে, ব্রেক্সিটের গৃহদাহ থামাতে এ বয়সেও রানীকে মাথা ঘামাতে হচ্ছে।

বুধবার রাজবাড়ির গার্ডেন পার্টিতে দ্বিতীয় এলিজাবেথ ডেকেছিলেন লন্ডনের কিছু অভিজাত ও প্রভাবশালীকে। তারই ফাঁকে সেখানে রানী এসে কথা বলেন বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী ১০ অধিনায়কের সঙ্গে।

ডিউক অব সাসেক্সই রানীর সঙ্গে মাশরাফি বিন মুর্তজাকে পরিচয় করিয়ে দেন। ইয়ন মরগানের পাশেই ছিলেন মাশরাফি। ‘এখানে কেমন লাগছে, তোমাদের দেশে তো অন্য রকম আবহাওয়া।’ রানীর হাসিমাখা কৌতূহলে মাশরাফিও বলেন, ‘আমাদের ওখানে এখন বেশ গরম। তবে এখানে আমরা অনেক দিন ধরে এসেছি। তাই ঠাণ্ডাতেও মানিয়ে নিয়েছি।’

টাইগার অধিনায়কের সঙ্গে আরও কিছুক্ষণ কথা হয় রানীর। দ্বিতীয় এলিজাবেথ জানতে চান, বাংলাদেশের প্রথম খেলা কবে? মাশরাফি তাকে জানানোর পর পুরো দলকে অভিনন্দন জানান বিশ্বকাপ খেলতে আসার জন্য।

গার্ডেন পার্টি থেকে মাশরাফিদের সঙ্গে দেখা করতে আসা রানী খুব বেশিক্ষণ ছিলেন না সেখানে। তবে তিনি চলে যাওয়ার পর প্রিন্স হ্যারি এসে কথা বলেন মাশরাফিদের সঙ্গে। এই ব্রিটিশ রাজপুত্তুরের আবার ক্রিকেট নিয়েও আগ্রহ বেশ।

গতকাল ওভালে এসে হাতে লেখা একটা বক্তৃতা পাঠ করেছিলেন, যেখানে সব দলকে স্বাগত জানিয়ে প্রিন্স হ্যারি তার ক্রিকেটের প্রতি ভালোবাসার কথা জানান। ওই দিন সন্ধ্যায় বাকিংহাম প্যালেসে হ্যারিও মাশরাফির সঙ্গে বাংলাদেশ ক্রিকেট নিয়ে তার কৌতূহলের কথা প্রকাশ করেন।

ব্রিটিশদের মধ্যে বাকিংহাম প্যালেস, রানী, রাজকুমারদের নিয়ে একটা বিশেষ শ্রদ্ধা কাজ করে। এখনও সেখানে যেতে হলে টাইয়ের নট, পরিস্কার জুতা, পরিচ্ছন্ন কোট- বহু ‘ডু অর নট টু বি ডু’ মেনে যেতে হয়। ব্রিটিশরা এসব রাজকীয়তাকে তাদের সভ্যতাই মনে করেন। তাই এমন অনুষ্ঠানে যাওয়ার আগে মাশরাফিকে একটা আলাদা প্রস্তুতি নিতে হয়েছিল। কার্ডিফ থেকে দলের সঙ্গে একই বাসে ফিরেছিলেন তিনি। তবে লন্ডনে ঢুকে আর টিম হোটেল নয়, সরাসরি আইসিসির নির্ধারিত অভিজাত দক্ষিণ লন্ডনের একটি হোটেলে চলে যান। সেখানেই রাজবাড়ির কর্মীরা মাশরাফিকে সাজিয়ে দেন।

ওই হোটেল থেকে মিনিট দশেকের দূরত্বে সব অধিনায়ক যান রাজবাড়িতে। শাটল বাসে চেপে ওই যাত্রাপথেই মাশরাফি একটা সেলফি তোলেন, ফেসবুকে এখন ভাইরাল সেই ছবি। বাকিংহাম প্যালেসের বাইরে দিয়ে বহুবার যাওয়া-আসা হলেও রাজদরবার অবধি কখনও যাওয়া হয়নি মাশরাফির। ছোটবেলায় গল্পের বইয়ে পড়া এক ছিল এক রাজা, এক ছিল এক রানীর মতোই- একটা কল্পনার জগৎ এত দিন গেঁথে ছিল তার মধ্যে। রানীকে দেখে এসে সেই গল্পগুলোই শুনিয়েছেন সতীর্থদের।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে