রাজধানীর ১৩টি খাল সংস্কারের জন্য ৪০ কোটি টাকা বরাদ্দ থাকলেও এগুলো আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে।
ঢাকা ওয়াসা বলছে, জলাবদ্ধতা রোধে শুধু বর্ষাকালে একবার খাল পরিষ্কারের জন্য দেয়া হয়েছিল এ বরাদ্দ। বছরের অন্য সময়ে খাল পরিষ্কারের দায় ওয়াসার নয়। এ অবস্থায় ঢাকার খাল রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নিতে পরামর্শ দিয়েছেন পরিবেশবাদিরা।
ঢাকা ওয়াসার সাইনবোর্ড না দেখলে যে কেউ এসব খালকে আবর্জনার ভাগাড় বলেই মনে করবেন। স্থানীয়রা বলছেন, গত বর্ষার আগে খালটি একবার পরিষ্কার করা হয়েছিল। এরপর আর পরিষ্কার না করায় ময়লা-আবর্জনা জমে তার উপর গাছ ও ঘাস বেড়ে ওঠেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে একই কারণে অন্য খালগুলোরও কমবেশি এমন বেহাল দশা। স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন পরিষ্কার না করায় দুর্গন্ধ ও মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ তাদের জীবন।
৪০ কোটি টাকা বরাদ্দ নিলেও খাল পরিষ্কারের দায় ওয়াসার নয় বলে দাবি করছেন সংস্থাটির এমডি। ঢাকার অন্য ৭টি সংস্থার ঘাড়ে দায় চাপিয়েছেন তিনি।
ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, এটা পরিষ্কার কে করবে তার ঠিক নেই। এগুলোর জন্য সরকারের কাছে ৬০ কোটি টাকা চেয়েছিলাম, কিন্ত সরকার ৪০ কোটি টাকা দিয়েছে। এখন কাজ করে তো লাভ নেই। আবারও ময়লা হয়ে যাবে। আমাদের যে উদ্দেশ্য তা হলো বৃষ্টির পানি যেন বেরিয়ে যেতে পারে। সেই ব্যবস্থা করতে হবে।
এ প্রসঙ্গে পরিবেশবাদীরা বলছেন, জবাবদিহিতা না থাকায় অকার্যকর সংস্থায় পরিণত হয়েছে ওয়াসা।
বেলার প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ঢাকা ওয়াসাকে ননফানশনাল বললে কম হয়ে যাবে। তাদের কোনো রকম জবাবদিহিতা নেই। তবে খালগুলোকে বাঁচাতে হলে ওয়াসাসহ অন্যসব সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে এক সাথে বসতে হবে।
এদিকে, কাগজে-কলমে ২৬টি খাল থাকলেও ঢাকায় মাত্র ১৩টি খালের অস্তিত্ব আছে বলে জানিয়েছে ওয়াসা।
- রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে দিল্লির সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে
- তামিম ইকবাল : বিশ্বের অন্যতম সেরা ওপেনার হয়ে উঠার গল্প
খিলগাঁও-বাসাব খালটিতে ময়লা পড়ে কয়েক স্তরে ময়লা জমা পড়েছে। এই খালটি প্রায় মৃত খালে পরিণত হয়েছে।
পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঢাকা সিটির খালগুলোকে বাঁচানো গেলেই ঢাকাকে বাঁচানো যাবে। তাই প্রতিনিয়ত যেভাবে ময়লা পড়ছে সেভাবে ঠিক প্রতিনিয়ত সেভাবেই ময়লা পরিষ্কার করতে হবে ঢাকা ওয়াসাকে।