বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দেশ, জাতি ও গণতন্ত্রের স্বার্থে নতুন নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, অবিলম্বে এই নির্বাচন বাতিল করে নতুন নির্বাচন দিতে হবে। নতুন নির্বাচনের জন্য নির্বাচনকালীন সময়ে সহায়ক সরকার অর্থাৎ একটা নিরপেক্ষ সরকার গঠন করতে হবে। যারা নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন পরিচালনা করবে। আর সেই নির্বাচনের মাধ্যমে সত্যিকার অর্থে একটি জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা পাবে।
আজ শনিবার বিকেলে টঙ্গীর আহসান উল্লাহ সরকার ইসলামিক ফাউন্ডেশন চত্বরে গাজীপুর মহানগর বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৩৮তম মৃত্যুবার্ষিকী ও ইফতার পূর্ব আলোচনা সভার প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, আমাদের দেশের ষোলো কোটি মানুষের নেত্রী, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রতীক, গণতন্ত্রের প্রতীক দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এখন কারারুদ্ধ। কারাগারে বসেই তিনি প্রতি মুহূর্তে গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। তিনি প্রতি সপ্তাহে শুধু একটি ম্যাসেজই পাঠান- দলকে যেকোনো মূল্যে ঐক্যবদ্ধ রাখুন।
তিনি বলেন, আমরা এ পর্যন্ত যতগুলো সিদ্ধান্ত নিয়েছি বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে আলোচনা-পরামর্শ করেই নিয়েছি। এমপিদের শপথ নেয়া এবং আমার শপথ না নেয়া সবই দলীয় সিদ্ধান্ত। আমাদের এমপিগণ সংসদে গিয়ে দেশনেত্রীর মুক্তির কথা বলবেন। দেশের ও বিশ্বের মানুষ তাদের কথা শুনবেন।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, আপনাদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি থাকলে তা দূর করেন। যারা অভিমান করে দূরে সরে আছেন, তাদের কাছে টেনে নেন। তাদের সঙ্গে সমঝোতা করে এক হউন। এটা আমাদের জনগণের দাবি। কোটি কোটি নেতাকর্মীদের দাবি, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দাবি।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে আটক করে রাখা হচ্ছে। তাকে মুক্ত করতে হবে, গণতন্তকে মুক্ত করতে হবে। আর দেশনেত্রীকে মুক্ত করতে হলে আমাদের সংগঠনকে শক্তিশালী করে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। সে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার জন্যে আসুন আমরা সবার আগে সংগঠনকে শক্তিশালী করে গড়ে তুলি।
ফখরুল আরও বলেন, মনের মধ্যে যে ব্যাথা বেদনা আছে তা শক্তিতে রূপান্তরিত করতে হবে। আমাদের মা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। গণতন্ত্রকে মুক্ত করতে হবে। দেশকে মুক্ত করতে হবে। বিএনপির কোনো সংকট নেই, এই সংকট হচ্ছে জাতির, বাংলাদেশের।
তিনি বলেন, আজকে যদি এ সংকট থেকে উত্তরণ করতে না পারি বাংলাদেশ থাকবে না, দেশের গণতন্ত্র থাকবে না। সুতরাং দেশ ও জাতির স্বার্থে গণতন্ত্রের স্বার্থে আজকে নতুন নির্বাচন দেয়া, অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দেয়া এখন একমাত্র কর্তব্য। আর এটাই আমাদের দাবি।
- দেশের তারুণ্যের ভাগ্য বদলে কাজ করছে সরকার : পরিকল্পনামন্ত্রী
- ওআইসির শীর্ষ ইসলামি সম্মেলনে যোগ দেননি এরদোয়ান
- লঙ্কানদের বিরুদ্ধে সহজ জয়ে কিউইদের বিশ্বকাপ মিশন শুরু
গাজীপুর মহানগর বিএনপির সভাপতি হাসান উদ্দিন সরকারের সভাপতিত্বে ও মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. সোহরাব উদ্দিনের সঞ্চালনায় আলোচনা অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি এ কে এম ফজলুল হক মিলন, দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, কেন্দ্রীয় সদস্য মো. মজিবুর রহমান, ডা. মাজহারুল ইসলাম, বিএনপি নেতা শাহ মো. রিয়াজুল হান্নান, গাজীপুর মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি মো. আফজাল হোসেন কায়সার, মো. শহীদ উজ্জামান, আহম্মদ আলী রুশদী, আজিজুর রহমান পেরা, বশির আহমেদ বাচ্চু, কাউন্সিলর হাসান আজমল ভূইয়া প্রমুখ।