প্রখ্যাত নাট্যকার, ভাষাসৈনিক, অভিনেতা ও শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মমতাজউদ্দীনের মৃত্যুতে বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
আজ রোববার এক শোকবার্তায় উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী নাটক ও শিক্ষা ক্ষেত্রে মমতাজউদ্দীনের অবদানের কথা গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।
তিনি বলেন, তাঁর মৃত্যুতে শিক্ষা ও নাট্য জগতে অপূরণীয় ক্ষতি হলো। একুশে পদকপ্রাপ্ত মমতাজউদদীন দেশের নাট্য জগতের উজ্জল তারকা ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে অভিনয় জগতে অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে, যা সহসাই পূরণ হবে না।
উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
অধ্যাপক মমতাজউদদীন আহমেদ আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
এর আগে অসুস্থ হয়ে রাজধানীর বেসরকারি অ্যাপোলো হাসপাতালে নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) ছিলেন তিনি। তার শরীর অক্সিজেন পাচ্ছিল না ও কার্বন ডাই–অক্সাইড বের হয়ে যাচ্ছিল। এছাড়া মস্তিষ্কে পানি জমে গিয়েছিল।
অনেক দিন ধরে শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছেন অভিনেতা মমতাজউদদীন। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে এর আগেও তাকে একাধিকবার লাইফ সাপোর্ট থেকে ফিরে এসেছিলেন।
- ঈদে সুন্দরবনে ‘রেড অ্যালার্ট’ জারি
- বিশ্বকাপ : পরিসংখ্যান জয়ের স্বপ্ন দেখাচ্ছে টাইগারদের
- যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা : নতুন নিয়মে যা থাকছে
মমতাজউদ্দীন আহমেদ প্রখ্যাত নাট্যকার, অভিনেতা ও ভাষাসৈনিক। স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশের নাট্য আন্দোলনের পথিকৃত। এক অঙ্কের নাটক লেখায় বিশেষ পারদর্শিতার স্বাক্ষর রেখেছেন। তিনি ১৯৯৭ সালে নাট্যকার হিসেবে একুশে পদকে ভূষিত হন।