মুশফিকুর রহিমের ব্যাটে ভর করে বড় সংগ্রহের স্বপ্ন দেখেছে বাংলাদেশ দল। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশ দলের সংগ্রহ ৩৯ ওভারের খেলা শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে ২৪০ রান। ৭৩ রানে ব্যাট করছেন মুশফিক।
রোববার ইংল্যান্ডের ওভালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। এ ম্যাচের মধ্য দিয়ে শুরু হলো বাংলাদেশের বিশ্বকাপ মিশন।
বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে উড়ন্ত সূচনার করে টাইগাররা। উদ্বোধনী জুটিতে ৮.২ ওভারে ৬০ রান করেন দুই ওপেনার সৌম্য সরকার ও তামিম ইকবাল।
চোট নিয়ে খেলতে নেমে প্রত্যাশিত ব্যাটিং করতে পারেননি তামিম ইকবাল। ইনিংসের শুরু থেকে সৌম্য সরকার একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকালেও অন্য প্রান্ত আগলে রেখে ব্যাট করেন তামিম।
কিন্তু আন্দিলে ফিলোকাওয়ের গতির বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন দেশসেরা ওপেনার। তার আগে ২৯ বলে দুটি চারের সাহায্যে ১৬ রান করেন তামিম।
দলীয় ৭৫ রানে ক্রিস মরিসের বাউন্সি বলে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে বিপদে পড়েন দুর্দান্ত খেলতে যাওয়া সৌম্য সরকার। ক্রিস মরিসের করা বলটি সৌম্যর মাথার ওপর দিয়ে যাচ্ছিল।
উড়ে আসা সেই বলটি সৌম্যর গ্লাভসে চুমু খেয়ে উইকেটেকিপার কুইন্টন ডি ককের গ্লাভসে জমা পড়ে। সামনে পড়া বলটিকে দুর্দান্ত ক্যাচে পরিণত করেন ডি কক।
সাজঘরে ফেরার আগে ৩০ বলে ৯টি চারের সাহায্যে ৪২ রান করেন সৌম্য সরকার।
দলীয় ৭৫ রানে দুই ওপেনারের বিদায়ের পর হাল ধরেন সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম।তৃতীয় উইকেটে তাড়া ১৪২ রানের জুটি গড়েন। তাদের অনবদ্য জুটিতে চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ার পুঁজি পায় বাংলাদেশ।
ক্যারিয়ারের ৪৩তম ওডিআইট ফিফটি গড়ার পর সেঞ্চুরি পথেই ছিলেন সাকিব। কিন্তু ইমরান তাহিরের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন সাকিব। তার আগে ৮৪ বলে ৮টি চার ও এক ছক্কায় ৭৫ রান করেন বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডার।
- চলে গেলেন কিংবদন্তি নাট্যকার মমতাজউদদীন আহমদ
- ঈদযাত্রায় সার্বিক নিরাপত্তায় আমরা সর্বোচ্চ সতর্ক আছি : কাদের
সাকিব আউট হলেও অবনদ্য ব্যাটিংয়ে করেন মুশকিক। আন্দিলে ফিলোকাওয়েকে বাউন্ডারি হাঁকানোর মধ্য দিয়ে ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ৩৪তম ফিফটি গড়েন মুশফিক। আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ক্রিকেটে সপ্তম সেঞ্চুরির পথে রয়েছেন এ উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান। তাকে সঙ্গ দিচ্ছেন মোহাম্মদ মিঠুন।
বাংলাদেশ একাদশ:
তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), মোহাম্মদ মিঠুন, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মোসাদ্দেক হোসেন, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মেহেদী হাসান মিরাজ, মাশরাফি বিন মুর্তজা (অধিনায়ক) ও মোস্তাফিজুর রহমান।
দক্ষিণ আফ্রিকা একাদশ:
কুইন্টন ডি কক (উইকেটরক্ষক), এইডেন মার্করাম, রসি ভ্যান ডার ডুসেন, ফাফ ডু প্লেসিস (অধিনায়ক), জেপি ডুমিনি, ডেভিড মিলার, ক্রিস মরিস, আন্দিলে ফিলোকাওয়ে, কাগিসো রাবাদা, লুঙ্গি এনগিদি ও ইমরান তাহির।