প্রথমবারের মতো ৫ লাখ কোটির মাইলফলক ছাড়িয়ে আগামী বাজেটের সম্ভাব্য আকার, ৫ লাখ ২৩ হাজার ২০৩ কোটি টাকা। টাকার অংকে সবচেয়ে বড় ব্যয় পরিকল্পনা নিয়ে অর্থমন্ত্রী হিসেবে প্রথমবারের মতো সংসদে দাঁড়াবেন আ হ ম মুস্তফা কামাল।
তবে আফসোস থেকে যাচ্ছে আকারটি আরো বড় করতে না পারার। কারণ হিসেবে তিনি দায়ী করেছেন, চিহ্নিত উৎস থেকে রাজস্ব আহরণ করতে না পারার ব্যর্থতা।
এক সাক্ষাৎকারে অর্থমন্ত্রী বলেছেন, রাজস্ব আয় দ্বিগুন করাই হবে তার প্রধান অগ্রাধিকার।
প্রাক-বাজেট আলোচনাতেই ধারনা দিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী, তার দেয়া বাজেট হবে ৫ লাখ কোটির বেশি।
অর্থবিভাগ থেকে মন্ত্রীর জন্য দেয়া খসড়া বাজেট বক্তৃতায় আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, প্রস্তাবিত বাজেটের আকার হবে ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯১ কোটি টাকা।
আয় ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৭৭ হাজার ৮১০ কোটি টাকা। ঘাটতি থাকবে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৩৮০ কোটি। ঘাটতি অর্থায়ন হবে সেই আগের মতোই বিদেশি ঋণ, অভ্যন্তরীন ঋণ এবং সঞ্চয়পত্র বিক্রি থেকে।
চলতি অর্থবছরের সংশোধিত রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য পূরনে চেষ্টার কমতি নেই জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্মকর্তাদের। এমনকি কর নেট বাড়ানোর জন্য জরীপ কার্যক্রমও শুরু হয়েছে দেশব্যাপী। রমজান মাসে বন্ধ রাখা হয়েছে, আবার শুরু হবে ঈদের পর।
এনবিআর চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া জানিয়েছেন, আয়করে সংস্কার আর নতুন ভ্যাট আইন কার্যকর, এ দুইয়ে ভর করে লক্ষ্য অর্জন সম্ভব হবে। ১৩ জুন বৃহস্পতিবার সংসদে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট উত্থাপন করবেন অর্থমন্ত্রী।