এ বছর ঈদুল ফিতরে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন ও জেলার অন্যান্য স্থান থেকে ছেড়ে যাচ্ছে এক কোটি ১০ লাখ মানুষ। এই বিপুলসংখ্যক ঘরমুখী যাত্রীর ৫৫ শতাংশ সড়কপথে ও ২৫ শতাংশ নৌপথে যাবে। বাকি ২০ শতাংশ যাবে রেলপথে।
নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির ঈদ-পূর্ব বার্ষিক প্রতিবেদনে এ পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও সংগঠনগুলো এ সংক্রান্ত ‘পূর্ণাঙ্গ ডাটাবেজ’ সংরক্ষণ না করায় তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে প্রতিবছর ঈদের আগে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয় এবং এতে প্রতিবেদনটিও ‘শতভাগ তথ্য-নির্ভর কিংবা বস্তুনিষ্ঠ’ করা সম্ভব হয়ে ওঠে না।
প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতি ঈদে আনুমানিক ৫০ শতাংশ মানুষ ঢাকা মহানগরী ছেড়ে যায়। এই হিসেবে এবার ঈদে এক কোটি মানুষ ঢাকা শহর ছাড়ছে।
এছাড়া ঢাকা দক্ষিণ, ঢাকা উত্তর, সিটি করপোরেশনের বাইরে জেলার অন্যান্য স্থান থেকে আরো ১০ লাখ মানুষ ঈদে ঘরমুখী হয়।
- আরও পড়ুন >> পবিত্র ওমরাহ পালন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
বিভিন্ন সূত্র থেকে সংগৃহীত তথ্য এবং সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ঈদ-পূর্ব পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে এ পরিসংখ্যান তৈরি করা হয়েছে বলে জাতীয় কমিটির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
বাংলাদেশ রেলওয়ে, নৌ ও সড়ক পরিবহন সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি সংস্থা, গণপরিবহন নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন এবং ব্যক্তিপর্যায়ের গবেষকদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের বরাত দিয়ে বেসরকারি এই সংগঠনের প্রতিবেদনে বলা হয়, আসন্ন ঈদুল ফিতরে ঘরমুখী মানুষের ৫৫ শতাংশ সড়ক, ২৫ শতাংশ নৌ ও ২০ শতাংশ রেলপথ ব্যবহার করবে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের বরাত দিয়ে জাতীয় কমিটির প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ২০১১ সালের আদম শুমারি অনুযায়ী ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) জনসংখ্যা যথাক্রমে এক কোটি ৬ লাখ ২৭ হাজার ১৭ এবং ৭৫ লাখ ৫৮ হাজার ২৫। দুটি করপোরেশন মিলিয়ে ঢাকা মহানগরীর মোট জনসংখ্যা এক কোটি ৮১ লাখ ৮৪ হাজার ৪১ এবং সম্মিলিত আয়তন ২৭০ বর্গকিলোমিটার।
তবে জীবন-জীবিকার তাগিদে দেশের নানা প্রান্ত থেকে ঢাকামুখী প্রবণতার কারণে গত নয় বছরে রাজধানীর জনসংখ্যা অন্তত দুই কোটি।
নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে বলেন, ঈদে স্বজনদের সান্নিধ্য-প্রত্যাশীরা গত কয়েকদিন ধরে বিচ্ছিন্নভাবে ঘরমুখী হতে শুরু করলেও আনুষ্ঠানিক ঈদযাত্রা শুরু হয়েছে ৩১ মে শুক্রবার থেকে এবং এই যাত্রা চলবে ৫ জুন বুধবার (সম্ভাব্য ঈদের দিন) দুপুর পর্যন্ত।