ট্রেন সূচিতে গড়বড়, কাটছে না বিড়ম্বনা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রথম দুইদিনের মতো তৃতীয় দিনেও কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে নির্ধারিত সময় ধরে ছাড়তে পারেনি কয়েকটি ট্রেন। স্টেশন পরিদর্শনে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেছেন, ঈদের আগে এসব ট্রেনের সূচি আর ঠিক করা সম্ভব হবে না।

রোববার সকাল ১০টা পর্যন্ত ২০টি ট্রেন ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলে তিনটি ট্রেন ছাড়তে দেরি করেছে। এর মধ্যে চিলাহাটীগামী নীলসাগর এক্সপ্রেস সকাল ৮টায় ছাড়ার কথা থাকলেও এটি প্রায় পাঁচ ঘণ্টা দেরিতে বেলা ১২টা ৫৫ মিনিটে ছেড়ে যায়।

universel cardiac hospital

নীলসাগর এক্সপ্রেস যাত্রা শুরুর আগে যাত্রীরা জানালেন ভোগান্তির কথা।

এই ট্রেনের যাত্রী ঢাকার একটি মাদ্রাসার শিক্ষক মামুনুর রশিদ বলেন, সকাল সাড়ে ৭টায় স্টেশনে এসে বসে আছি, কারণ আমার ট্রেনের সময় ছিল ৮টায়। কিন্তু এখন দেখছি এটি প্রায় পাঁচ ঘণ্টা লেইট। এটা কষ্টদায়ক।

এই ট্রেনের আরেক যাত্রী একটি ওষুধ প্রস্তুতকারী কর্মী মনিরুল ইসলাম বলেন, আমি নাটোর যাব, সারারাত ডিউটি করেছি, এরপর সেহরি খেয়ে আর ঘুমানোর সুযোগ হয়নি, খুব সকালে স্টেশনে এসে দেখি ট্রেন অনেক বিলম্ব।

একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মী মোজাফ্ফর হোসেনর অভিযোগ নীলসাগর ট্রেনটি নিয়মিতই দেরি করে ছাড়ে। তিনি বলেন, আমি বেশ কয়েকবার ভেবেছি এই ট্রেনে আর যাব না। কিন্তু এখন পরিস্থিতির শিকার।

নীলসাগর ছাড়া এদিন রাজশাহীগামী ধূমকেতু এক্সপ্রেস সকাল ৬টার পরিবর্তে সাড়ে ৯টা এবং খুলনাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস সকাল ৬টা ২০ মিনিটের পরিবর্তে সকাল ৮টায় রওনা হয়।

তিনটি ট্রেনের সূচি ঠিক না থাকার বিষয়ে কমলাপুরের স্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ আমিনুল হক বলেন, ওই তিন ট্রেনে যাত্রীচাপ একটু বেশি। আর ট্রেনগুলো এখানে আসতেই দেরি করেছে। আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি সবগুলো ট্রেন যেন নির্ধারিত সময়ে ছেড়ে যেতে পারে।

প্রথম দুইদিন দেরি করলেও রোববার রংপুর এক্সপ্রেস নির্ধারিত সময় সকাল ৯টাতেই ছেড়েছে।

রংপুরের পথে নতুন একটি ট্রেন দেওয়ায় পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে বলে জানালেন স্টেশন ম্যানেজার আমিনুল হক।

এদিকে সকাল সাড়ে ১০ টায় কমলাপুর স্টেশন পরিদর্শনে আসেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, যে তিনটি ট্রেনের যাত্রা বিলম্ব হচ্ছে সেগুলো দূরপাল্লার ট্রেন। কমলাপুর থেকে প্রতিদিন ৫২টি ট্রেন ছেড়ে যায়। এই কয়েকটি ট্রেন ছাড়া অন্য কোনো ট্রনের যাত্রা বিলম্ব হবে না।

তিনি বলেন, যাত্রায় বিলম্ব হওয়া ট্রেনগুলো ঈদের আগে আর সিডিউলে ফেরানো যাবে না। কারণ আমাদের এতো বেশি বগি নেই যে, ওই ট্রেন বাতিল করে নতুন করে আরেকটি ট্রেন দেওয়া যাবে। তবে ঈদের পর সেগুলোও সময় ধরে চলবে।

ভোগান্তি এড়াতে যাত্রীদের মন্ত্রীর পরামর্শ- বাসা থেকে বের হওয়ার আগে ট্রেনটি কোথায় আছে, বিলম্ব হবে কিনা তা মোবাইলের মাধ্যমে জেনে আসলে তাহলে স্টেশনে এসে আর ভোগান্তি পোহাতে হবে না।

রোববার কমলাপুর থেকে ৫৫টি ট্রেন ছেড়ে যাওয়ার কথা রয়েছে বলে স্টেশন ম্যানেজার আমিনুল হক জানিয়েছেন।

এর মধ্যে তিনটি ঈদের বিশেষ ট্রেন, যার একটি দেওয়ানগঞ্জের উদ্দেশে সকাল পৌনে ৯টা এবং অন্যটি লালমনিরহাটের উদ্দেশে সোয়া ৯টায় ছেড়ে গেছে। তৃতীয় বিশেষ ট্রেনটি ঈশ্বরদী যাত্রা কররার কথা রয়েছে সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে