ধর্ষণ নয়, যা হবার সম্মতিতেই হয়েছে : নেইমার

ক্রীড়া ডেস্ক

ধর্ষণ নয়, যা হবার সম্মতিতেই হয়েছে : নেইমার
নেইমার। ফাইল ছবি

ব্রাজিল তারকা নেইমার তার বিরুদ্ধে এক তরুণীর আনা ধর্ষণের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন ব্রাজিল তারকা। যেখানে ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেছেন, ওই নারীর সঙ্গে অস্বাভাবিক কিছুই হয়নি। ওই নারী চাঁদাবাজির চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। নেইমারের বাবা এ ঘটনাকে একটি ফাঁদ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

এক বিবৃতিতে এই ফুটবলারের ম্যানেজম্যান্টের পক্ষ থেকে উদ্বেগ জানিয়ে বলা হয়, এই অভিযোগ অনৈতিক। একটি নেতিবাচক পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্যই এটা করা হয়েছে।

universel cardiac hospital

এতে আরও বলা হয়, নেইমার চাদাবাজির চেষ্টার শিকার। এটি যে প্রত্যক্ষ চাঁদাবাজির চেষ্টা এবং ধর্ষণের মতো ঘটনা নয় সে সংক্রান্ত প্রমাণ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

এদিকে ইনস্টাগ্রামে নিজের অ্যাকাউন্টে সাত মিনিটের একটি ভিডিওতে অভিযোগের বিষয়ে অবস্থান ব্যাখ্যা করেন নেইমার।

পর্তুগিজ ভাষায় ওই ভিডিওতে তিনি বলেন, চাদাবাজির চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে আমি ও আমার পরিবারকে হেয় প্রতিপন্ন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, আমি অত্যন্ত মর্মাহত। ওই মেয়ের সঙ্গে কি হয়েছিল আমি এখন সেই বর্ণনা দেব। না হয় এ বিষয়ে ডালপালা বাড়তেই থাকবে। এখানে যা হয়েছে তা সম্মতিতেই হয়েছে। এর ব্যতিক্রম যে কিছু সেখানে ঘটেনি সেই বিষয়টিই আমি প্রকাশ করছি।

তিনি বলেন, সেদিন একজন পুরুষ ও নারীর মধ্যে সেই সম্পর্কই হয়েছে যা সাধারণত একটি জুটির মধ্যে চার দেয়ালের ভিতরে হয়ে থাকে। পরদিন এর চেয়ে বেশিকিছু ঘটেনি।

ভিডিওতে ২৭ বছর বয়সী এই ফুটবলার হোয়াটসঅ্যাপে নিজেদের মধ্যে আদান-প্রদান করা বার্তাসমূহ তুলে ধরেন। ওই নারী তাকে হোয়াটসঅ্যাপে যেসব গোপনীয় আবেদনময়ী ছবি প্রদান করেন সেগুলোও তিনি দেখান ভিডিওতে।

এর আগে ব্রাজিলের সাও পাওলোর পুলিশ বলছে, একটি আবাসিক হোটেলে এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। যেখানে নেইমারের দল পিএসজির খেলোয়াড়রা অবস্থান করছিলেন।

অভিযোগকারী নারীর নাম এখনো প্রকাশ করেনি পুলিশ। তবে পুলিশের ডকুমেন্টস থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ওই নারীর সাথে নেইমারের পরিচয় হয়েছিল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইন্সটাগ্রামে। পরে নেইমার ওই নারীকে প্যারিসে তার সাথে দেখা করার প্রস্তাব দেন।

তিনি ওই নারীকে ব্রাজিল থেকে প্যারিসের আসার জন্য একটি বিমান টিকেট পাঠান এবং প্যারিসের ওই হোটেলে তার জন্য রুমে থাকার ব্যবস্থাও করেন।

ওই নারীর অভিযোগ, গত ১৫ মে নেইমার যখন হোটেলে ফিরেন তখন তিনি ‘আপাতদৃষ্টিতে মাতাল’ ছিলেন। হোটেলে এসেই তিনি ওই নারীর সাথে কিছু কথা বলে তাকে জড়িয়ে ধরেন। একপর্যায়ে নেইমার জোর করে ওই নারীকে যৌনতায় বাধ্য করেন। তাৎক্ষণিকভাবে প্যারিসে তিনি অভিযোগ করতে পারেননি। কারণ তখন মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। একটি নতুন দেশে কীভাবে পুলিশের কাছে অভিযোগ করবেন সে নিয়ে দ্বন্দ্বে ছিলেন। তাই ব্রাজিলে ফিরেই এই অভিযোগ দায়ের করেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে