প্রত্যাশিত শর্ত নিশ্চিত না হলে কোনো চুক্তি ছাড়াই ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়া উচিত হবে বলে মনে করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
যুক্তরাজ্য সফরের প্রাক্কালে দেশটির সংবাদপত্র দ্য সানডে টাইমসকে এ কথা বলেন ট্রাম্প। ব্রিটিশ রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের আমন্ত্রণে আজ সোমবার যুক্তরাজ্য সফরে যাচ্ছেন ট্রাম্প।
ট্রাম্প আরও বলেন, যুক্তরাজ্যের উচিত ইইউয়ের সঙ্গে আলোচনায় ব্রেক্সিট পার্টির নেতা নাইজাল ফারাজকে যুক্ত করা। নাইজালকে ‘খুবই স্মার্ট ব্যক্তি’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন ট্রাম্প।
ব্রেক্সিট নিয়ে এই মন্তব্যের আগে ট্রাম্প পরবর্তী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাঁর পছন্দের ব্যক্তির কথা জানান।
দ্য সানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, কনজারভেটিভ পার্টির নেতৃত্বের জন্য বরিস জনসনই হবেন চমৎকার ব্যক্তিত্ব। প্রধানমন্ত্রী হিসেবেও তিনি ভালো করবেন।
- আরও পড়ুন >> বাংলাদেশের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ভারতীয় বিশ্লেষকরা
প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়ার পর এখন যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টিতে নতুন নেতা নির্বাচনের তোড়জোড় চলছে। নতুন নেতাই হবেন দেশটির পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী। ব্রেক্সিটপ্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়ার দায়িত্ব তাঁর ওপরই পড়বে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, যুক্তরাজ্য যদি পছন্দসই চুক্তিতে পৌঁছাতে না পারে, যদি ন্যায্য কোনো চুক্তি করতে না পারে, তবে উচিত হবে চুক্তি ছাড়াই বিচ্ছেদ করা।
বিচ্ছেদের জন্য ইইউকে ৩৯ বিলিয়ন পাউন্ড দেওয়ার পক্ষে নন ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘আমি যদি তাঁদের (যুক্তরাজ্য) জায়গায় থাকতাম, তা হলে এই অর্থ দিতাম না। এটা অনেক বড় অঙ্ক।’
বেশ কয়েকজন প্রার্থী থেরেসা মের উত্তরসূরি হতে ইচ্ছুক। তাঁরা হলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্ট, আন্তর্জাতিক উন্নয়নমন্ত্রী ররি স্টুয়ার্ট, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন, সাবেক কর্ম ও পেনশনবিষয়ক মন্ত্রী ইস্থার ম্যাকভি, সাবেক ব্রেক্সিটমন্ত্রী ডমিনিকা রাব। তাঁদের মধ্যে সাজিদ, ইস্থার ও ডমিনিকা চুক্তি হোক বা না হোক ৩১ অক্টোবরের মধ্যেই বিচ্ছেদ কার্যকরের পক্ষে। তবে ররি কোনো চুক্তি ছাড়া ব্রেক্সিটে আগ্রহী নন।