প্রয়াত নাট্যকার, নির্দেশক ও অভিনেতা অধ্যাপক মমতাজউদদীন আহমদের দ্বিতীয় নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। জানাজার পর অধ্যাপক মমতাজউদদীন আহমদকে শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করে সর্বস্তরের মানুষ।
সোমবার সকাল ১০টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে তাঁর দ্বিতীয় জানাজা সম্পন্ন হয়। এর আগে রূপনগরের বাসার পাশে মদিনা মসজিদে তাঁর প্রথম নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়।
মমতাজউদদীনের মরদেহ তার গ্রামের বাড়ি চাঁপাইনবাগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার হাবিবপুর নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে বাবার কবরের পাশে চিরশায়িত করা হবে বলে জানা গেছে।
- আরও পড়ুন >> বাংলাদেশের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ভারতীয় বিশ্লেষকরা
ঢাবিতে তাঁর জানাজার নামাজে অংশ নেন শিক্ষাবিদ ও সংগঠক অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান, নাট্য ব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদ, রামেন্দু মজুমদার, সালাহউদ্দিন লাভলু প্রমুখ।
জানাজার পর অধ্যাপক মমতাজউদদীন আহমদকে শেষশ্রদ্ধা নিবেদন করে সর্বস্তরের মানুষ।
এসময় ওবায়দুল কাদের বলেন, শিল্প ও সাহিত্যে অঙ্গনে অধ্যাপক মমতাজউদদীন আহমদ বিরল প্রতিভার অধিকারী ছিলেন। তিনি একজন ভাষাসৈনিকও ছিলেন। তার চলে যাওয়ায় শিল্প-সাহিত্যাঙ্গনে অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেলো। তিনি অত্যন্ত সদালাপী, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি এবং বঙ্গবন্ধু-প্রেমিক ছিলেন। তিনি আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনারও অনেক প্রিয় ব্যক্তিত্ব ছিলেন।
গতকাল রবিবার রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মমতাজউদদীন আহমদ। সেখান থেকে রাতে তাকে রূপনগরে নিয়ে যাওয়া হয়।