বাংলাদেশ নিয়ে ওয়াসিম আকরামের স্মৃতিচারণ

ক্রীড়াডেস্ক

ওয়াসিম আকরাম
বাংলাদেশকে নিয়ে ২৪ বছর আগের স্মৃতিচারণ ওয়াসিম আকরামের। ছবি: এএফপি
পাকিস্তান-ইংল্যান্ড ম্যাচে ধারাভাষ্যের সময় বাংলাদেশ প্রসঙ্গে হঠাৎই স্মৃতিকাতর হয়ে পড়েছিলেন পাকিস্তানের কিংবদন্তি বাঁ হাতি ফাস্ট বোলার ওয়াসিম আকরাম। ক্রিকেট ক্যারিয়ারে বহুবার বাংলাদেশে আসার স্মৃতি উল্লেখ করে তিনি বাংলাদেশের ক্রিকেটের দারুণ প্রশংসাও করেছেন।

ওয়াসিম আকরাম। ।ক্রিকেট ক্যারিয়ারে বহুবার বাংলাদেশে এসেছেন। খেলেছেন ঢাকার প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে। নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝি সময়ে আবাহনীতে খেলার সেই স্মৃতি সাবেক পাকিস্তানি অধিনায়ক বর্ণনা করেছেন বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড-পাকিস্তান ম্যাচের ধারাভাষ্যের একপর্যায়ে। তাঁর কথায় উঠে এসেছে বাংলাদেশের ক্রিকেটের এত দিনের পথচলা। ক্রিকেটে বাংলাদেশের উঠে আসার বিষয়টি।

ক্যারিয়ারে বাংলাদেশে তিনি প্রথমবার এসেছিলেন ১৯৮৬ সালে পাকিস্তান ক্রিকেট দলের মোড়কে ঢাকায় প্রদর্শনী ম্যাচ খেলতে আসা ‘ওমর কোরেশি একাদশে’র হয়ে। বিখ্যাত পাকিস্তানি ধারাভাষ্যকার ওমর কোরেশির নামে সেই দলটির নেতৃত্বে ছিলেন পাকিস্তানের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ইমরান খান। এরপর ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত উইলস এশিয়া কাপেও খেলেছিলেন আকরাম।

ক্যারিয়ারের শেষ পর্যন্ত এসেছেন বহুবার। কখনো খেলোয়াড় হিসেবে, কখনো বা ব্যক্তিগত সফরে। তবে বাংলাদেশ নিয়ে তাঁর সবচেয়ে মধুর স্মৃতি বোধ হয় ১৯৯৫ সালের শুরুতে। সেবার আবাহনী লিমিটেডের হয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে বেশ কয়েকটি ম্যাচ খেলেছিলেন তিনি। কাল ইংল্যান্ড-পাকিস্তান ম্যাচের ধারাভাষ্যের একপর্যায়ে সে স্মৃতিই তুলে ধরলেন সহ ধারাভাষ্যকার ইশা গুহর কাছে।

২৪ বছর আগে আকরামকে এনে হইচই ফেলে দিয়েছিল আবাহনী, ‘বাংলাদেশের অন্যতম সেরা ক্লাব আবাহনী। তাদের ফুটবল দল, ক্রিকেট দল দুটিই সেরা। ১৯৯৪ সালের দিকে (আসলে হবে ১৯৯৫) আমি আবাহনীতে খেলেছিলাম। যে কটি ম্যাচ খেলেছিলাম, খুব আনন্দ পেয়েছি। দর্শকদের বিপুল আগ্রহ দেখেছি।’

বাংলাদেশের ক্রিকেটের উঠে আসার বিষয়টিও তুলে ধরে আকরাম তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘সে সময় ফুটবল বাংলাদেশের এক নম্বর খেলা। বিপুল জনপ্রিয়। আবাহনীর ফুটবল দলের খেলা দেখতে হাজার হাজার দর্শক স্টেডিয়ামে জমায়েত হতো। ঢাকায় আমার অনেক বন্ধু-বান্ধব। তাদের সঙ্গে লং ড্রাইভে যেতাম ঢাকার আশপাশের অঞ্চলে। সে সময় দেখেছি, সবাই ফুটবল নিয়ে মেতে আছে। তবে ক্রিকেটের জনপ্রিয়তাও কম ছিল না। আবাহনীর অনুশীলন দেখতেই প্রচুর মানুষ হতো। তবে ১৯৯৯ সালের পর দর্শকদের আগ্রহ পুরোপুরি ক্রিকেটের দিকে ঘুরে গেছে। এখন গেলে দেখবেন সব জায়গায় কেবল ক্রিকেট খেলছে সবাই।’

ইশ গুহ আকরামের সঙ্গে ঢাকার যানজট নিয়ে রসিকতা বলেন, ‘ঢাকার যানজট ঠেলে আপনি বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতেন কীভাবে?’ উত্তরে আকরাম বলেন, ‘দেখুন আমি ঢাকাকে ভালোবাসি, ঢাকার যানজটও ভালোবাসি।’

১৯৯৫ সালে আবাহনীর হয়ে অবশ্য আকরামের মাঠের অভিজ্ঞতা খুব মধুর ছিল না। তাঁকে নিয়ে প্রথম ম্যাচেই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহামেডানের কাছে হেরেছিল আবাহনী। সে কারণে প্রিমিয়ার লিগের শিরোপাটা অধরাই থাকে যায় তাদের।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে