নওগাঁর ছোট যমুনা নদীতে সাঁতার কাটতে নেমে রুয়েটের শিক্ষার্থী রিফাত হোসাইন (২১) নিখোঁজ হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। তাকে উদ্ধারে নওগাঁ ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ও রাজশাহী ফায়ার সার্ভিসের ডুবরি দল কাজ করছে। শুক্রবার সকাল ১০টা পর্যন্ত তাকে উদ্ধার করা যায়নি।
রিফাত হোসাইন নওগাঁ শহরের কুমাইগাড়ী মহল্লার দেওয়ানপাড়ার শেরেকুল ইসলামের ছেলে। ঘটনাস্থল পরিদর্শক করেছেন নওগাঁ সদর আসনের সাংসদ ব্যারিস্টার নিজাম উদ্দিন জলিল জন, জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমান, পুলিশ সুপার ইকবাল হোসেন পিপিএমসহ প্রশাসনের অন্য কর্মকর্তারা।
স্থানীয়রা জানায়, ঈদের ছুটিতে রিফাত বাড়িতে আসেন। বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে তিনি ও তার চাচাতো ভাই উল্লাস ডিগ্রির মোড় শিশু হাসপাতালের পিছনে ছোট যমুনা নদীতে সাঁতার কাটছিলেন। এ সময় তারা নদীর দক্ষিণ পাড় থেকে সাঁতার কেটে উত্তর পাড়ে যাচ্ছিল। এক পর্যায়ে উল্লাস সাঁতরে নদী পাড় হলেও রিফাত পানিতে ডুবে যান। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। স্থানীয় ১৫/২০ জন লোক নদীতে নেমে রিফাতকে খুঁজতে থাকে। কিন্তু তারা জাল দিয়ে টেনেও তার সন্ধান পায়নি। পরে নওগাঁ ফায়ার সার্ভিসের দু’টি ইউনিট এবং বিকেল ৩টার দিকে রাজশাহী থেকে ডুবুরি দল এসে খুঁজতে থাকে। শুক্রবার সকাল ১০টা পর্যন্ত পর্যন্ত রিফাতের সন্ধান মেলেনি।
রিফাত হোসাইনের চাচাত ভাই উল্লাস বলেন, সাঁতারের এক পর্যায়ে পাড় থেকে ৫/৭ ফুট দূরে নদীর মধ্যে রিফাত ভাই দুর্বল হয়ে পড়েন। এরপর আর সাঁতরাতে পারবেন না বলে জানান। এক পর্যায়ে তিনি পানির মধ্যে তলিয়ে যান। এসময় সেখানে এক লোককে ডাক দিয়ে বলি, আমার ভাই পানিতে ডুবে যাচ্ছে, তাকে বাঁচাতে হবে। কিন্তু তিনি দৌড়ে চলে যান।
- আরও পড়ুন, ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস আজ
নওগাঁ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সিনিয়র ম্যানেজার সাবের আলী বলেন, নওগাঁ স্টেশনের ৫ জন এবং রাজশাহী থেকে ফায়ার সার্ভিসের দুই ডুবুরিসহ পাঁচজন উদ্ধার অভিযানে নেমেছে। রিফাত যেখানে ডুবে গিয়েছিলেন সেখানে অনেক খোঁজাখুজি করা হয়েছে। না পেয়ে অবস্থান পরিবর্তন করে এর আশপাশে খোঁজা হচ্ছে।
নওগাঁ সদর থানার ওসি সোহরাওয়ার্দী হোসেন বলেন, উদ্ধার কাজ অব্যাহত আছে।