তিন সিটি করপোরেশনের নির্বাচনসহ স্থানীয় সরকারের ভোটের আয়োজনে নতুন অর্থবছরের বাজেটে ৩০০ কোটি টাকা বরাদ্দ চায় নির্বাচন কমিশন।
আসছে ১৩ জুন জাতীয় সংসদে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এবারের বাজেটের আকার পাঁচ লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে ইতোমধ্যে আভাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ইসির বাজেট শাখার জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব এনামুল হক বলেন, ঢাকা উত্তর, দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনসহ সংসদের উপ নির্বাচন এবং মেয়াদোত্তীর্ণ স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর ভোট করতে নতুন অর্থবছরের বাজেটে নির্বাচন খাতে ৩০০ কোটি বরাদ্দ রাখার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
কমিশনের অনুমোদন নিয়েই নির্বাচন পরিচালনা ও আইনশৃঙ্খলা খাতের বরাদ্দের এই প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
কমিশনের বাজেটে উন্নয়ন খাতে বরাদ্দের অর্থ দিয়ে ছবিসহ ভোটার তালিকা হালনাগাদ, ডেটাবেইজ সংরক্ষণে সার্ভার স্টেশন ভবন নির্মাণ, স্মার্টকার্ড বিতরণ, জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য যাচাই অব্যাহত রাখা এবং নির্বাচনী ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন করতে চায় ইসি।
ইসির অধীনে চলমান প্রকল্পের বরাদ্দ দেওয়া হয় বাজেটের উন্নয়ন খাত থেকে। এর মধ্যে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) বরাদ্দও থাকছে।
প্রায় চার হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে দেড় লাখ ইভিএমের জন্য গতবছর জুলাইয়ে হাতে নেওয়া এ প্রকল্প ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত চলবে।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, আগামী অর্থবছরের বাজেটে পরিচালন ও উন্নয়ন খাতে ইসির জন্য প্রায় ১ হাজার ৯২০ কোটি টাকা চাওয়া হয়েছে। আগামী বছর অনুষ্ঠেয় তিন সিটির ভোট ইভিএমে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি।
- আরও পড়ুন, সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাস দুর্ঘটনায় নিহত ১৭
২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল একসঙ্গে ঢাকা উত্তর, দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম সিটির ভোট হয়েছিল। স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন অনুযায়ী, পাঁচ বছর মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার ১৮০ দিন আগে যে কোনো সময় ভোট করতে হবে।
- আরও পড়ুন, ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস আজ
ঢাকা উত্তরের ক্ষেত্রে এই মেয়াদ হবে ২০২০ সালের ১৩ মে পর্যন্ত; আর দক্ষিণে ওই বছরের ১৬ মে পর্যন্ত। চট্টগ্রাম সিটির মেয়াদ শেষ হবে ২০২০ সালের জুলাইয়ে।