বাড়ছে ওভারফ্লাইং আয়

বিশেষ প্রতিনিধি

সিলেটে অবতরণে ব্যর্থ হয়ে আবার ঢাকায় ফিরল বিমান!
ফাইল ছবি

বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) দেশের আকাশসীমা ব্যবহার করে ওভারফ্লাইং করা ফ্লাইটগুলো থেকে অ্যারোনেটিক্যাল চার্জ আদায় করে। এটি বেবিচকের অন্যতম একটি আয়ের খাত।

জানা যায়, আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটের ক্ষেত্রে ভিন্ন হারে এ নেভিগেশন চার্জ নেয় সিভিল এভিয়েশন। সময়ের ব্যবধানে এ আয় বাড়ছে। তবে সে তুলনায় বাড়ানো যায়নি এয়ার নেভিগেশন সংক্রান্ত সুবিধাদি।

universel cardiac hospital

বেবিচক সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশের আকাশসীমা ব্যবহার করা আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের ক্ষেত্রে ২ হাজার কেজির ওজনের নিচে বিমানের ক্ষেত্রে ১২ ডলার, ২ হাজার থেকে ৫ হাজার কেজি ওজনের মধ্যে ২৪ ডলার, ৫ হাজার কেজি থেকে ১০ হাজার কেজি ওজনের বিমানের জন্য ৩০ ডলার, ১০ হাজার কেজি থেকে ২০ হাজার কেজি ওজনের মধ্যে হলে ৭৫ ডলার, ২০ হাজার কেজি থেকে ৫০ হাজার কেজি ওজনের বিমানের জন্য ১৫০ ডলার, ৫০ হাজার কেজি থেকে ১ লাখ কেজি ওজনের মধ্যে হলে ৩০০ ডলার, ১ লাখ থেকে ২ লাখ কেজি ওজনের বিমানের জন্য ৪২০ ডলার আর বিমানের ওজন ২ লাখ কেজির উপরে হলে ৪৫০ ডলার হারে চার্জ দিতে হয়।

সূত্র মতে, অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটের ক্ষেত্রে ২ হাজার কেজি ওজনের নিচে বিমানের ক্ষেত্রে ৭৫ টাকা, ২ হাজার থেকে ৫ হাজার কেজি ওজনের বিমানের ক্ষেত্রে ১৫০ টাকা, ৫ হাজার কেজি থেকে ১০ হাজার কেজি ওজনের বিমানের জন্য ২২৫ টাকা, ১০ হাজার কেজি থেকে ২০ হাজার কেজি ওজনের মধ্যে হলে ৪৫০ টাকা, ২০ হাজার কেজি থেকে ৫০ হাজার কেজি ওজনের বিমানের জন্য ৯০০ টাকা, ৫০ হাজার কেজি থেকে ১ লাখ কেজি ওজনের মধ্যে হলে ১ হাজার ৮০০ টাকা, ১ লাখ থেকে ২ লাখ কেজি ওজনের বিমানের জন্য ৩ হাজার টাকা আর বিমানের ওজন ২ লাখ কেজির উপরে হলে ৩ হাজার ৭৫০ টাকা হারে চার্জ আদায় করে বেবিচক।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭-১৮ অর্থবছরের রাজস্ব আয়ের তথ্য আগামী জুলাইতে জমা দেবে সিভিল এভিয়েশন। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে সংস্থাটির রাজস্ব আয় ছিল ১ হাজার ৫৫৯ কোটি ৯০ লাখ টাকা। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে আয় ছিল ১ হাজার ৩৩০ কোটি ৭ লাখ টাকা। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে আয় ছিল ১ হাজার ২২০ কোটি ৮০ লাখ টাকা। চলতি অর্থবছরে এ আয় আরও বাড়বে বলে মনে করছেন বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল নাইম হাসান।

এ প্রসঙ্গে আজ শুক্রবার তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, আমাদের এভিয়েশন সেক্টর বড় হচ্ছে। সেইসঙ্গে বাড়ছে এয়ার নেভিগেশন আয়। বর্তমান সরকারের সদিচ্ছার কারণেই এ খাতে প্রতিনিয়ত উন্নয়ন হচ্ছে।

দেশের অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলোতে কার্যক্রম পরিচালনাকারী এয়ারলাইন্সগুলোর কাছ থেকে অ্যারোনটিক্যাল ছাড়াও নন-অ্যারোনটিক্যাল চার্জ অন্যতম আরেক আয়ের উৎস।

তাছাড়া দেশের বিমানবন্দরগুলোতে অবকাঠামো ভাড়া, বিজ্ঞাপন, গাড়ি পার্কিং, দোকান, অফিস স্পেস ভাড়া, জলাশয় ইজারাসহ বিভিন্ন খাত থেকেও আয় করে বেবিচক।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে