নির্বিঘ্নে ঢাকায় ফিরছে মানুষ। তবে ঈদের ছুটি শেষে রাজধানীতে পুরোদমে এখনও ফিরছে না মানুষ। ভোগান্তিহীন যাত্রার জন্যই আগে ভাগে ফিরছেন তারা।
তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঈদের ছুটি শেষ। এর মাঝে শুক্র ও শনি ছুটি রয়েছে। তাই ঢাকায় ফেরা মানুষের চাপ বাড়বে ৯-১০ তারিখের দিকে।
শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত গাবতলী বাস টার্মিনাল ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।
গ্রামের বাড়ি রাজবাড়ী থেকে ঢাকায় ফিরেছেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠনের কর্মকতা মো. রানা। গাবতলী বাসস্ট্যান্ডে বাস থেকে যখন নামছিলেন তার সঙ্গে পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও ছিলেন।
তিনি বলেন, শনিবার থেকে সড়কে অনেক জ্যাম (যানজট) থাকবে। তাছাড়া অফিসও খুলবে। ভোগান্তিহীন যাত্রার জন্য তাড়াতাড়ি ঈদের ছুটি শেষ করে ঢাকা ফিরেছি।
মাগুরা থেকে ঢাকা এসেছেন মনি মোহন মন্ডল। মাগুরা সিংড়া বিহারীলাল ডিগ্রি কলেজের এই ছাত্র বলেন, ব্যক্তিগত কাজে ঢাকায় এসেছি। একটু তাড়াতাড়ি এসেছি। কারণ ঈদের ছুটিতে ঢাকা ফেরা মানুষের ভিড় বাড়বে এ জন্যই আগে আসা।
বরিশাল থেকে আসা সেলিনা আক্তার বলেন, ঈদের ছুটি শেষ করে ফিরলাম। স্বজনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে ফিরছি। পরিবহনের জ্যাম, টিকিট না পাওয়ার ঝামেলা এড়ানোর জন্য আগেই চলে আসা।
টার্মিনালে অবস্থা করে দেখা যায়, দেশের দক্ষিণাঞ্চলসহ বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ রাজধানীতে ফিরতে শুরু করেছেন। হয়রানি ও ভোগান্তি এড়াতে কেউ কেউ পরিবারের সদস্যদের ঈদের আগেই বাড়ি পাঠিয়ে দেন। তারা আবারও ঈদের ছুটি শেষে ঢাকায় ফিরছেন। তবে ৯-১০ জুনের দিকে পুরোদমে ফিরতে মানুষ।
গাবতলী বাস টার্মিনালে শ্যামলী পরিবহনের কাউন্টার ম্যানেজার শওকত আলী বলেন, এবারের ঈদে ৯ দিন ছুটি ছিল। কেউ কেউ ফিরলেও অনেকেই বাড়ি রয়ে গেছেন।
তিনি বলেন, ঈদযাত্রায় যাত্রীরা অনেকটা ঝামেলা ছাড়াই পরিবার-স্বজনদের নিয়ে বাড়ি গেছেন। অনেকে আবার বাবা-মা, ভাই-বোনকে আগে পাঠিয়ে দিয়েছেন। ফেরার ক্ষেত্রেও একই পন্থা অবলম্বন করছেন তারা।
তিনি আরও বলেন, আগামী ৯ তারিখ থেকে যাত্রীরা বাড়ি থেকে ফেরা শুরু করবেন। ঈদের ছুটি শেষে ঢাকামুখী মানুষদের একটা চাপ থাকবে।
হানিফ এন্টারপ্রাইজের কাউন্টার ম্যানেজার মো. মিন্টু বলেন, এখন পর্যন্ত বাড়ি ফেরত যাত্রীর চাপ তেমন নেই। ঈদে সরকারি ছুটি ৯ দিন থাকায় এখনও পুরোদমে রাজধানীমুখী মানুষের ঢল শুরু হয়নি।