সেনাবাহিনীর প্রতি ধোনির হৃদ্যতা সবার জানা। সেনাবাহিনীর একটি রেজিমেন্টের প্রতীক গ্লাভসে পরা নিয়েই এবার গোল বাঁধল। আইসিসি ভারতীয় ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে স্পষ্টভাবে ধোনির গ্লাভসের সেই প্রতীক নিয়ে আপত্তি জানিয়ে দিল।
এবারের বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচ সপ্তম দিনে এসে খেলল ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সহজ জয়ে ২০১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপ শুরু হয়েছে তাদের। বুমরা-চাহালদের বিধ্বংসী বোলিং এবং রোহিত শর্মার ঠান্ডা মাথার সেঞ্চুরিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে টানা তিন ম্যাচে হারের দুঃস্বপ্ন দিয়ে বিশ্বকাপের ফেবারিট তকমাটা পোক্ত করল ভারত।
এমন আনন্দময় পরিবেশে হঠাৎ ঝামেলা বাঁধাল আইসিসি। দক্ষিণ আফ্রিকা ইনিংসের ৪০তম ওভারের একটি ঘটনার রিপ্লে থেকে ঘটনার সূত্রপাত। তা কী দেখা গেল সেই রিপ্লেতে? আন্দিলে ফিকোয়াওকে চাহালের বলে স্ট্যাম্পিং করছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। সে সময় ধোনির গ্লাভসে একটি প্রতীক রিপ্লের সুবাদে নজরে আসল সবার।
প্রতীকটি কী ছিল সেটি নিয়ে শেষ পর্যন্ত আইসিসিকেও মাথা ঘামাতে হলো। প্রতীকটি ছিল ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্যারা স্পেশাল ফোর্সের প্যারাসুট রেজিমেন্টের। এর নাম ‘বলিদান ব্যাজ’। ব্যাজটি শুধু প্যারামিলিটারি কমান্ডোরা ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু ধোনি সেই ব্যাজ পড়ে নামলেন বিশ্বকাপের ম্যাচে। মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যাওয়া রিপ্লের সেই টুকরো ভিডিওটি দেখে ভারতীয়রা ধোনির দেশপ্রেমের প্রশংসা করতে শুরু করেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি কিন্তু বিষয়টিকে ভালোভাবে নেয়নি। সংস্থাটির স্ট্র্যাটেজিক কমিউনিকেশনস বিভাগের মহাব্যবস্থাপক ক্লেয়ার ফারলং সংবাদমাধ্যমকে জানালেন যে, ধোনির কিপিং গ্লাভস থেকে সেনাবাহিনীর সেই প্রতীকটি সরাতে এরই মধ্যে বিসিসিআইকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আইসিসি এটিকে তাদের পোশাক এবং ক্রীড়া অনুষঙ্গ সম্পর্কিত আইনের লঙ্ঘন হিসেবে অভিহিত করছে। আর তাই বিসিসিআইকে ধোনির গ্লাভসের সেই প্রতীকের ব্যাপারে সতর্ক করেছে তারা।
সেনাবাহিনীর সঙ্গে ধোনির সম্পর্কটা পুরোনো। ২০১১ সালে সেনাবাহিনীর প্যারাসুট রেজিমেন্টের সম্মানসূচক লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদবি পান। ২০১৫-তে প্যারা ব্রিগেডের সঙ্গে ট্রেনিংয়েও অংশ নিয়েছেন ধোনি। গত বছরের এপ্রিলে ভারতের অন্যতম রাষ্ট্রীয় পুরস্কার পদ্মভূষণ গ্রহণ করতে রাষ্ট্রপতি ভবনেও গিয়েছিলেন সেনাবাহিনীর পোশাকে।