ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনী ও বিদ্রোহীদের সামরিক অভিযানে সীমান্তের জিজান, নাজরান এবং আসির প্রদেশে সৌদি আরবের সেনাবাহিনীর অন্তত ৭১ সদস্য নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে সৌদি সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ এক কর্মকর্তাও রয়েছেন বলে জানিয়েছে ইয়েমেনি সংবাদমাধ্যম আপরাইজিং ট্যুডে।
গত কয়েক সপ্তাহে সীমান্ত পেরিয়ে সৌদির ওই তিন প্রদেশে ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনী এবং বিদ্রোহীরা অভিযান পরিচালনা করেছে বলে দাবি সংবাদমাধ্যমটির।
ইয়েমেন সেনাবাহিনীর প্রকাশিত এক পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, গত কয়েক সপ্তাহে সৌদি সেনাবাহিনীর হতাহতের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। সৌদি গণমাধ্যমে হতাহতের যে সংখ্যা জানানো হয়েছে, প্রকৃত সংখ্যা তার চেয়েও কয়েকগুণ বেশি।
যুদ্ধবিধ্বস্ত ইয়েমেনের সেনাবাহিনীর একটি সূত্র বলছে, সম্মুখভাগ থেকে সেনাদের নির্বিচারে সরিয়ে নিচ্ছে সৌদি সরকার। নিজ দেশের সেনাদের পরিবর্তে সুদান এবং ইয়েমেনের ভাড়াটেদের ওপর নির্ভর করছে রিয়াদ।
এছাড়াও ইয়েমেনের সামরিক বাহিনীর চলমান অভিযানে সৌদি সেনাবাহিনীর ব্যাপক প্রাণহানি ঘটছে বলে দাবি করেছে আপরাইজিং ট্যুডে।
সৌদি আরবের সীমান্তবর্তী বিভিন্ন প্রদেশে সম্প্রতি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা বাড়িয়েছে ইয়েমেনে সৌদি জোটের বিরুদ্ধে লড়াইরত হুথি বিদ্রোহীরা। ২০১৪ সালে রাজধানী সানা দখলের পর সৌদি সমর্থিত ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট আব্দ রাব্বু মনসুর আল হাদিকে ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত করে হুথি। তারপর থেকেই দেশের বাইরে তিনি।
হাদিকে ক্ষমতায় ফেরাতে ২০১৫ সালের জুনে ইয়েমেনে হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে হামলা শুরু করে সৌদি নেতৃত্বাধীন আরব সামরিক জোট।
- মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের নিতে চায় না : প্রধানমন্ত্রী
- ‘ওসি মোয়াজ্জেমের পালানোর খবর অশনিসংকেত’
- ফেনীতে র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ২ মাদক ব্যবসায়ী নিহত
কয়েক সপ্তাহ ধরে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদসহ দেশটির আরও কয়েকটি শহরে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে হুথিরা। গত মাসের শেষ দিকে পবিত্র নগরী মক্কা ও জেদ্দায় দুটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হলে তা ধ্বংস করে সৌদি প্রতিরক্ষা বাহিনী। প্রায় একই সময় সৌদির নাজরান বিমানবন্দরে তিনবার হামলা চালানোর দাবি করে হুথি।
ইয়েমেনের এই বিদ্রোহীগোষ্ঠী বলছে, তারা সৌদি আরব, ইয়েমেন এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের ৩০০ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাকে টার্গেট করে হামলা অব্যাহত রাখবে।