বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষে নিহত ৪

ডেস্ক রিপোর্ট

দলীয় পতাকা সরানোকে কেন্দ্র করে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগণায় সংঘর্ষে জড়িয়েছে বিজেপি এবং তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাকর্মীরা। এতে চারজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

গতকাল শনিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাতটার দিকে কলকাতা থেকে প্রায় দেড় শ কিলোমিটার দূরে উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার বসিরহাট মহকুমার সন্দেশখালি ন্যাজার্টে থানা এলাকায় এই সংঘর্ষ হয়।

universel cardiac hospital

প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী ধরে চলা সংঘর্ষে ওই এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। নিহতরা সবাই গুলিবিদ্ধ হয়েছে মারা গেছে বলে নিশ্চিত করেছে দেশটির পুলিশ।

সংঘর্ষের পর ওই এলাকায় বিপুল পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি ভয়াবহ হওয়ায় স্থানীয় অনেকেই এলাকা থেকে অন্য জায়গায় সরে যাচ্ছেন।

ভারতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, সন্দেশখালি ১ নম্বর ব্লকের হাটগাছা পঞ্চায়েতের ডাঙ্গিপাড়ায় দুটি দলের দুটি সভায় চলছিল। ওই সভা শেষ থেকে দুপক্ষের নেতাকর্মীরা সংঘর্ষে জড়ান।

আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে, প্রথমে ওই এলাকায় তৃণমূলের বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে তৃণমূলের কর্মীরা বিজেপির পতাকা খুলতে শুরু করলে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয় বলে দাবি করেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু। কিন্তু জেলা তৃণমূলের সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের পাল্টা অভিযোগ, বৈঠক শেষে মিছিল বের করেছিল করেছিল তৃণমূল। সেই মিছিলে হামলা চালিয়ে ২৬ বছর বয়সী তৃণমূল কর্মী কায়ুম মোল্লাকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

রাজ্যের বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসুর দাবি, সংঘর্ষে তাদের দলের পাঁচ কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে তিনজনের লাশ পাওয়া গেলেও বাকি দুজনের লাশ পুলিশ সরিয়ে ফেলেছে।

নিহত বিজেপি কর্মীদের মধ্যে সুজিত মণ্ডল, তপন মণ্ডল ও সুকান্ত মণ্ডলের লাশ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন তিনি। এছাড়া তাদের চার কর্মী নিখোঁজ রয়েছেন এবং তাদের মধ্যে শঙ্কর মণ্ডল ও দেবদাস মণ্ডল নামে দু’জন নিহত হয়েছেন, এমন খবর তারা পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন বসু।

অন্যদিকে তৃণমূল নেতা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, আমাদের এক তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। বিজেপির কর্মীরা তাকে মেরে ফেলেছে। তার মাথায় গুলি করা হয়েছে। বিজেপি যদি মারার রাজনীতি শুরু করে আমরাও ছাড়ব না।

পরিস্থিতি জানাতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করবেন বলে জানিয়েছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি মুকুল রায়। সংঘর্ষের এ ঘটনার জন্য তিনি তৃণমূল কংগ্রেস প্রধান ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়ী করেছেন।

২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে এই রাজ্যে মাত্র দুটি আসনে জিতেছিল বিজেপি। তবে এবার সেই সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৮। অন্যদিকে এবারের লোকসভা নির্বাচনে ২২টি আসন পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। ২০১৪ সালের নির্বাচনে তারা পেয়েছিল ৩৪টি আসন।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে