ইংল্যান্ডে ক্রিকেট বিশ্বকাপ জয়ের মিশনে নেমেছে ভারত। সেই দলে নেই যুবরাজ সিং। বিশ্বকাপ দলে থাকার আলোচনায়ও তিনি ছিলেন না। মনে মনে সেই ক্ষোভ হয়তো ছিল। তাই ভারতের ২০১১ বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক যুবরাজ সিং আন্তর্জাতিক এবং প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট থেকে বিদায়ের ঘোষণা দিলেন।
ভারতের হয়ে দুই দশক ক্রিকেট খেলেছেন তিনি। ব্যাট হাতে প্রতিপক্ষের বোলরদের ওপর ছড়ি চালিয়েছেন। ভারতে ২০০৭ টি-২০ বিশ্বকাপে জয়ে রেখেছেন বড় অবদান। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ছয় বলে ছয় ছক্কা হাঁকিয়ে তিনি টি-২০ ক্রিকেটের ইতিহাসে ঢুকে গেছেন।
ভারতের হয়ে ২০০০ সালে কেনিয়ার বিপক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় যুবরাজের। ভারতের জার্সিতে ৪০ টেস্ট খেলেছেন এই বাঁ-হাতি অলরাউন্ডার। ওয়ানডে খেলেছেন ৩০৪টি। এছাড়া টি-২০ ম্যাচ খেলেছেন ৫৮টি। টি-২০ ক্রিকেটে তার স্ট্রাইক রেট ১৩৬.৩৮।
অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে যুবরাজ ২৩৮ রান করেন। ওই বছরই জাতীয় দলে ডাক পান। নিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে ৮০ বলে ৮৪ রান করেন। তরুণ যুবরাজ নেটওয়েস্ট সিরিজের লর্ডসে ইংল্যান্ডের ৩২৭ রান তাড়া করতে নেমে টপ অর্ডারের ধসের পর ৬৩ বলে ৬৯ রান করেন। ভারতের হিরো বনে যান।
- আরও পড়ুন, ইউরোপ চ্যাম্পিয়ন রোনালদোর পর্তুগাল
২০১১ বিশ্বকাপে তিনি চার ফিফটি এবং এক সেঞ্চুরিতে ৩৬২ রান করেন। পার্ট টাইম বোলিংয়ে নেন ১৫ উইকেট। কিন্তু বিশ্বকাপের পরে তার ‘স্টোমাক ক্যান্সার’ ধরা পড়ে। ক্যান্সার জয় করে আবার ২০১৩ সালে ক্রিকেটে ফেরেন যুবরাজ। দারুণ সেঞ্চুরিও করেন ফেরার পর। কিন্তু শুরুর সেই যুবরাজকে আর পাওয়া যায়নি। এরপরও ক্রিকেট যুদ্ধ চালিয়ে গেছেন যুভি। কিন্তু ব্যাট হাতে আগের মতো তলোয়াড় তিনি চালাতে পারেননি। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে তিনি ৫২ ফিফটি এবং ১৪ সেঞ্চুরিতে ৩৬.৫৬ গড়ে ৮৭০১ রান করেছেন।