পাকুন্দিয়ায় ভাবীকে কুপিয়ে হত্যায় ঘাতক মিলনের মৃত্যুদণ্ড

আইন ও বিচার ডেস্ক

আদালত
ফাইল ছবি

পারিবারিক কলহের জের ধরে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় ভাবীকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে দেবর আজহারুল ইসলাম মিলনকে (৪৪) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

আজ সোমবার আসামির উপস্থিতিতে কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. আব্দুর রহিম এ রায় দেন।

দণ্ডিত আজহারুল ইসলাম মিলন পাকুন্দিয়া উপজেলার পাকুন্দিয়া মধ্যপাড়া পর্দানীপাড়ার মৃত ছায়ামুদ্দিনের ছেলে। নিহত তাছলিমা আক্তার (৪৫) একই উপজেলার ছয়ছির গ্রামের মৃত ফজর আলীর মেয়ে এবং পর্দানীপাড়ার বাবুল মিয়ার স্ত্রী। তিনি তিন সন্তানের জননী ছিলেন।

মামলা ও সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা যায়, একটি কাঁথা হারানোকে কেন্দ্র করে দেবর মিলনের সঙ্গে তার ভাবী তাছলিমার ঝগড়া হয়। এর জের ধরে ২০১৫ সালের ১৫ জুন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তাছলিমাকে দা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে মিলন।

এরপর দাসহ পাকুন্দিয়া থানায় আত্মসমর্পণ করে সে। এদিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাছলিমাকে পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পর সেখান থেকে তাকে ঢাকায় পাঠান। ঢাকায় পঙ্গু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় ওইদিনই মিলনকে আসামি করে পাকুন্দিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন নিহত তাছলিমার বড় ভাই মো. শাহাব উদ্দিন। ঘটনার পরদিন ১৬ জুন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে হত্যাকাণ্ডে দায় স্বীকার করেন মিলন। পরে ২০১৬ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই জিয়াউর রাব্বী আদালতে মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

রাষ্ট্রপক্ষে এপিপি অ্যাডভোকেট সৈয়দ শাহজাহান ও আসামি পক্ষে অ্যাডভোকেট মো. জালাল উদ্দিন মামলাটি পরিচালনা করেন।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে