নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় একটি বাড়িতে গ্যাসের চুলার লিকেজ থেকে আগুন লেগে বাবা ও মেয়েসহ একই পরিবারের চারজন দগ্ধ হয়েছে।
দগ্ধদের গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার ভোরে সদর উপজেলার ফতুল্লা থানার পাগলা চিতাশাল এলাকায় আব্দুল আলীমের বাড়িতে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
দগ্ধরা হলেন- বাড়ির মালিক আব্দুল আলীম, তার মেয়ে শিউলি বেগম, দুই নাতনি তানজিলা ও জ্যোতি।
ফতুল্লা বিসিক ফায়ার সাভির্সের স্টেশন অফিসার আব্দুল হক জানান, টিনের ঘরের দু’টি রুমে মেয়ে ও দুই নাতনিকে নিয়ে বসবাস করেন আব্দুল আলীম। ভোরে রান্না করা জন্য চুলা জ্বালানোর সময় গ্যাসের লিকেজ থেকে আগুন ধরে যায়। এ সময় মূহুর্তের মধ্যে আগুন রান্নাঘর সহ শোবার ঘরে ছড়িয়ে পড়লে ওই পরিবারের চারজন দগ্ধ হয়।
আগুনে ঘরের আসবাবপত্র ও কাপড়চোপড় পুড়ে গেছে। পরে তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে আগুন নেভায় এবং দগ্ধদের উদ্ধার করে গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করে।
সকালে খবর পেয়ে ফতুল্লার বিসিক ফায়ার স্টেশনের দুইটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে অগ্নিকাণ্ডের কারণ উদঘাটনের জন্য তদন্ত শুরু করে।
চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, আগুনে দগ্ধ ৪ জনের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
তাদের মধ্যে আব্দুল আলীমের শরীরের ৪৮ শতাংশ, শিউলি বেগমের ৫৪ শতাংশ, তানজিলার ১৮ শতাংশ ও জ্যোতির ২৪ শতাংশ পুড়ে গেছে। বার্ন ইউনিটে তাদের চিকিৎসা চলছে।