এবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও অভিযোগ নেবে বিটিআরসি

ডেস্ক রিপোর্ট

বিভিন্ন টেলিকম সেবা সম্পর্কে গ্রাহকদের অভিযোগ নেবার ক্ষেত্রে ভিন্নতা আনছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন।

শর্টকোড ‘১০০’-তে ২৪ ঘণ্টা অভিযোগ নেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে খানিকটা সরে এসে তা দিনে ১২ ঘণ্টা চালু রাখা এবং একই সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও অভিযোগ নেওয়ার প্রক্রিয়া চালু করতে যাচ্ছে বিটিআরসি।

নতুন সিদ্ধান্ত অনুসারে সপ্তাহের সব দিন সকাল নয়টা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত ১০০ নম্বরে ডায়াল করে যে কেউ টেলিযোগাযোগ সেবা সম্পর্কে অভিযোগ জানাতে পারবেন।

তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অভিযোগ জানানো যাবে দিনের যে কোনো সময়ে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, তারা ২৪ ঘণ্টার জন্যে কল সেন্টারে অভিযোগ নেওয়ার পক্ষে থাকলেও মূলত সরকারি কেনাকাটা সম্পর্কিত নিয়ম-নীতির প্যাঁচে পড়ে তাদেরকে সিদ্ধান্ত বদলাতে হচ্ছে।

বলা হচ্ছে, যে পদ্ধতিতে তারা ইম্পিল সার্ভিস অ্যান্ড সলিউশন লিমিটেড বা আইএসএসএল নামের একটি কোম্পানিকে এর আগে কাজ দিয়েছেন সেই একই পদ্ধতিতে কাজ দিতে হলে খরচের পরিমাণ ২০ লাখ টাকার নীচে থাকতে হবে। কিন্তু ২৪ ঘণ্টার জন্যে সেবাটি উন্মুক্ত করা হলে খরচ বছরে ২২ লাখ টাকার ওপরে হবে।

তাই সেবাটিকে ১২ ঘণ্টায় বেঁধে রেখে খরচ ১৮ লাখ টাকার মধ্যে নামিয়ে আনা হচ্ছে বলে জানা গেছে।

টেলিফোনে ১০০ নম্বরে ডায়াল করে অভিযোগ জানানোর সঙ্গে সঙ্গে এই টাকার মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অভিযোগ জানানোর পদ্ধতিটি যুক্ত করা হয়েছে।

তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অভিযোগ জানানোর পদ্ধতি এখনো চূড়ান্ত করা হয়নি।

বর্তমানে কেবল অফিস চলাকালে অভিযোগ জানানো যায়, যেখানে বিটিআরসির খরচ হয় বছরে আট লাখ টাকা। আইএসএসএল-এর কাছ থেকে বিটিআরসি এখন মাসে ২২ দিন পাঁচটি সিটে আট ঘণ্টা করে সেবা নিচ্ছে। প্রতিটি সিটের জন্যে ঘণ্টা প্রতি চার্জ করা হচ্ছে ৭৮ টাকা করে।

কিছুদিন আগে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের নির্দেশনায় বিটিআরসি টেলিকম সেবা সংক্রান্ত অভিযোগ জানানোর পরিসর আরও বিস্তৃত করার উদ্যোগ নেয়।

সম্প্রতি অভিযোগ গ্রহণ প্রক্রিয়া সহজ করার কারণে মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোর বিভিন্ন সেবা নিয়ে গত এক বছরে বিটিআরসি ৭ হাজার ৯০৮টি অভিযোগ পেয়েছে।

২০১৮ সালের মে হতে ২০১৯ সালের এপ্রিল পর্যন্ত সময়ে এসব অভিযোগ জমা পড়ে বিটিআরসির কাছে।

অভিযোগের মধ্যে সিম বার, নেটওয়ার্ক ইস্যু, কোয়ালিটি অব সার্ভিস, ট্যারিফ রেট, রিচার্জ বা বিলিং, ডেটা ভলিউম ব্যবহার, এসএমস, ডেটার গতি, মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস, প্রতারণামূলক কার্যক্রম, প্যাকেজ মাইগ্রেশন, কলড্রপ, কুইজ বা প্রাইজ বা অ্যাওয়ার্ড, সোশ্যাল মিডিয়া ও সাইবার সম্পর্কিতসহ বেশ কিছু বিষয় রয়েছে।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে