শিবলী মোকতাদির, কবি ও প্রাবন্ধিক। জন্ম : ১১ জুন ১৯৬৯ বগুড়ায়। প্রকাশিত গ্রন্থ : ধানের রচনা দিলে পত্রে,ছন্দের নান্দনিক পাঠ,নিষিদ্ধ পুষ্টির কোলাহল, সোনার কার্তুজ, রৌদ্রবঞ্চিত লোক, ব্যবহারিক বিস্ময়, দুর্ভিক্ষের রাতে, কায়া ও কৌতুকী। ১১ জুন ৫০তম জন্মদিন উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে তাঁর তিনটি কবিতা প্রকাশ করা হল।
অধ্যাপক
ঘটনা-শিলার দিকে যে আমাকে কেন্দ্র করে
ডুবে যায় বিবাহ তোমার ধীরে ধীরে
ধরো, বিচলিত রূপের প্রবাহে নিবেদিত পাত্রী তুমি
যতবার গ্রহণে সূচনা দাও;
বিবিধ অঞ্চলে বিনীত ভূগোলের কোল ঘেঁষে
আর আমি ভুলের বচনে হিংস্র কালির ন্যায় অপরাধী
অহেতুক অবাধ্য দুপুরে দূষিত আলোয়
প্রচলিত রাত্রি আর ছাত্রী ভেবে মরি!
পাখি
“চতুর্দিক থেকেই পরিশ্রমী পাখিরা
রাত্রিতে আমার বসন্তবৃক্ষে সমবেতভাবে বিশ্রাম নিয়ে
প্রত্যুষেই নিজ নিজ উদ্দেশ্যে উড়ে যায়।’’
সিন্দুকে তুলে রেখে,
পাখিরে বলে রাখি-
আমি যেন বন্দুকে
কভু আর না রাখি আঁখি।
সে এক আতরবিক্রেতা। বিক্রি করে ঝাঁজালো পুষ্পসার
অভিমানী আর অন্ধ। ভিড় চিরে ছুটে চলে দ্বার হতে দ্বার।
আতর
দিন ভেঙে রোজ রাতে- বহে অন্তরালে কত খোশগল্প
মিলনকেন্দ্র থেকে ছিটকে আসে ঘাম, ঘূর্ণির ঘোরে অল্প।
সে হাঁকে তির্যক রাসুলের বাণী। ভূমিষ্ট ও মৃত্যুর কালে;
এ-আতর সর্বশ্রমে ছুঁয়ে দাও ব্যথিত ব্যক্তির গালে।
এই শুনে, মেঘের আড়াল থেকে পলাতক এক অরণ্যচর
জ্ঞানগ্রাহ্য করে বলে- এই নাও চাবি, ভেঙে ফেলো ঘর।
- আরও পড়ুন: সুঁইসুতা-কাজ জপে জপে
অলংকরণ: মাসুক হেলাল ও মীর রবি