ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ সম্পূর্ণ বানোয়াট : এনামুল বাছির

ডেস্ক রিপোর্ট

খন্দকার এনামুল বাছির
খন্দকার এনামুল বাছির। ফাইল ছবি

ঘুষ নেওয়ার অভিযোগকে সম্পূর্ণ বানোয়াট বলেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির।

মঙ্গলবার নিজ কার্যালয়ের সাংবাদিকদের কাছে এ দাবি করেন তিনি। এনামুল বাছির বলেন, এটা সম্পূর্ণ বানোয়াট একটি অভিযোগ। আপনারা সব এক্সপার্ট নিয়ে এটা প্রমাণ করুন।

ডিআইজি মিজানুর রহমানের সঙ্গে কথোপকথনের অডিও সম্পর্কে জানতে চাইলে এনামুল বাছির বলেন, সব বানোয়াট। তাকে অভিযোগ প্রমাণ করতে বলেন।

ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ যে মিথ্যা, তার কোনও প্রমাণ আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, মিথ্যা জিনিসের প্রমাণ কী?

পুলিশ সদর দফতরে সংযুক্ত ডিআইজি মিজানুর রহমানের কাছ থেকে দুই দফায় ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে দুদকের পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে তথ্য ফাঁসের অভিযোগে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে দুদক। একইসঙ্গে তিনি ঘুষের টাকা নিয়েছেন কিনা, নিলে সেই টাকা কোথায় আছে, এ বিষয়ে আলাদা তদন্ত হবে বলে জানিয়েছেন দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।

তবে ঘুষ গ্রহণের বিষয়টি অস্বীকার করে এনামুল বাছির সোমবার বলেন, আমাকে ফাঁসানো হয়েছে।

জানা গেছে, গত বছর নারী নির্যাতনের অভিযোগে দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করা হয় পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানকে। এরপর তার বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের তথ্য প্রকাশ হলে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এই তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন দুদকের পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির। তবে অভিযোগ ওঠে, তদন্ত চলাকালেই প্রাপ্ত তথ্য অভিযুক্তের কাছে চালান করে দিয়ে আপসরফার মাধ্যমে দুই দফায় ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নেন তিনি। ডিআইজি মিজান নিজেই এমন অভিযোগ করেছেন দুদকের পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরের বিরুদ্ধে।

ডিআইজি মিজানের দুদকের কাছে করা অভিযোগ থেকে জানা গেছে, তার বিরুদ্ধে তদন্তের দায়িত্ব পাওয়া দুদক পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরের সঙ্গে তার চুক্তি ছিল টাকার বিনিময়ে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পাবেন। তবে টাকা নিয়েও শেষ পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে প্রতিবেদন জমা দেন বাছির। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে অবৈধ লেনদেনের এই ঘটনা দুদকের কাছে ফাঁস করেন ডিআইজি মিজানুর রহমান। তার অভিযোগ আমলে নিয়ে এনামুল বাছিরের বিরুদ্ধে বিষয়টি তদন্তের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করে দুর্নীতি দমনকারী সংস্থাটি। যদিও দুদক পরিচালক এনামুল বাছির অভিযোগটি অস্বীকার করেন।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে