সাভার ও কুমিল্লা ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুইজন নিহত হয়েছে। এ সময় পুলিশের তিন সদস্য আহত হয়েছে। সোমবার দিনগত রাত আড়াইটার দিকে এ ঘটনা দুই ঘটে। এ সময় পিস্তল ও কয়েক রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
সাভার: আশুলিয়ায় দুই ডাকাত দলের ‘বন্দুকযুদ্ধে’ এক ব্যক্তি নিহত হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে নিহত ব্যক্তির নাম-পরিচয় জানা যায়নি। সোমবার দিনগত রাত আড়াইটার দিকে টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড মহাসড়কের আশুলিয়ার বেড়িবাঁধের মরাগাঙ্গ এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। তবে পুলিশের দাবি, নিহত ব্যক্তি ডাকাত দলের সদস্য। তার কাছে পিস্তল ও কয়েক রাউন্ড গুলি পাওয়া গেছে।
আশুলিয়া থানার ওসি রিজাউল হক দীপু জানান, আশুলিয়ার মরাগাঙ্গ এলাকায় ডাকাতের দুদলের মধ্যে গোলাগুলি হচ্ছে, এমন গোপন খবর আসে। এর ভিত্তিতে সোমবার দিনগত রাত আড়াইটার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে গুলিবিদ্ধ এক ডাকাতকে পাওয়া যায়।
পরে তাকে উদ্ধার করে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হলে সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করে। এ সময় মরদেহের পাশ থেকে একটি পিস্তল ও কয়েক রাউন্ড গুলিও উদ্ধার করেছে পুলিশ।
- আরও পড়ুন>> ঝুঁকিতে ২ হাজার এটিএম বুথ
নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকার সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওসি।
কুমিল্লা: সদর দক্ষিণ উপজেলায় পুলিশের সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ বাপ্পি ওরফে রাজীব নামে মাদক মামলার এক পলাতক আসামি নিহত হয়েছে। সোমবার দিনগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার উত্তর বিজয়পুরে হোসেনপুর-লালমতি সড়কের মিল গেইটের সামনে এ ঘটনা ঘটে। নিহত বাপ্পি ওরফে রাজীব কুমিল্লা শহরের ২২ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর রামপুর গ্রামের দেলোয়ার হোসেন দেলুর ছেলে।
সদর দক্ষিণ থানার ওসি মামুন অর রশিদ এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, বাপ্পির বিরুদ্ধে সদর দক্ষিণ থানায় মাদক আইনের ১১টি মামলা রয়েছে। পুলিশের করা ‘শীর্ষ মাদক কারবারিদের’ তালিকাতেও তার নাম ছিল। এ ছাড়া পুলিশের তিন সদস্যও এ অভিযানে আহত হয়েছে।
নিহত বাপ্পির মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওসি।