আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ঐক্যফ্রন্ট ঐক্যবদ্ধ থাকুক, এটাই সরকারি দলের প্রত্যাশা। তিনি বলেন, একটি শক্তিশালী বিরোধী দল গণতন্ত্রের জন্য ভালো।
মঙ্গলবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের যৌথ সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী এ কথা বলেন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকে ঐক্যফ্রন্টের মধ্যে টানাপোড়েন চলছিল। এ বিষয়ে সোমবার ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠক হয়। সেখানে জোটের অনেক নেতা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান। এই বিষয়ে প্রশ্ন করলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ঐক্যফ্রন্টের ব্যাপারে আপনারা যে প্রশ্ন করেছেন, ঐক্যফ্রন্টে সমন্বয় নেই, ঐক্য নেই, আমরা সেটা চাই না। আমরা চাই সংসদের ভেতরে ও বাইরে দায়িত্বশীল ও শক্তিশালী বিরোধী দল হিসেবে তারা যথাযথ ভূমিকা পালন করবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে বিএনপি উদ্বেগ প্রকাশ করলেও ডাক্তাররা কোনো উদ্বেগ প্রকাশ করছেন না। খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য উদ্বেগের পর্যায়ে আছে বলে আমাদের জানা নেই। মেডিকেল বোর্ডও এ রকম কোনো তথ্য দিতে পারেনি।
তিনি বলেন, বিএনপির নেতারা মুখরক্ষায়, কর্মীদের চাঙা করতে নানান কথা বলছেন। তারা বেগম জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে যতটা না উদ্বিগ্ন, তার চেয়ে তার শারীরিক অবস্থা নিয়ে রাজনীতি করতেই বেশি অভ্যস্ত ও ব্যস্ত।
সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি বারবার বিদেশিদের কাছে ধরনা দিচ্ছে। বিদেশিরা কখনো বলেনি বেগম জিয়ার স্বাস্থ্য খারাপ। তারা বলেছে, বন্দী অবস্থায় যেন ভালো চিকিৎসা হয়। ভালো চিকিৎসা তো হচ্ছে।
আওয়ামী লীগের নেতারা প্রতিহিংসামূলক বক্তব্য দিচ্ছেন বলে বিএনপি নেতারা অভিযোগ করেছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যারে দেখতে নারি, তার চলন বাঁকা। শেখ হাসিনার ভালো কাজ তারা দেখতে পান না। উন্নয়ন তাদের চোখে পড়ে না। কারণ হচ্ছে, তারা ধরে নিয়েছেন, রাজনীতি হচ্ছে বিরোধিতার জন্য বিরোধিতা। বাস্তব অবস্থার কোনো বিচার-বিশ্লেষণ তারা করছেন না। আসলে উন্নয়ন দেখার জন্য তাদের পাওয়ারের চশমা দরকার।
সংরক্ষিত নারী আসনে বিএনপির সাংসদ হিসেবে শপথ নেওয়া রুমিন ফারহানার এই সংসদকে অবৈধ বলে মন্তব্য করার বিষয়ে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, তার সাহসের প্রশংসা করি যে, তিনি সংসদে এসেছেন। মির্জা ফখরুল ইসলাম তো পাস করেও সংসদে আসেননি। সংসদে এসে সংসদ ও সরকারের বিরুদ্ধে বলুক। এতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। তারপর সংসদে তো এসেছেন। তবে সংসদ সদস্য হয়ে কীভাবে এই সংসদকে অবৈধ বললেন, তার মীমাংসা সংসদ অধিবেশনেই হবে।
যৌথ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন— আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, এ কে এম এনামুল হক শামীম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, কেন্দ্রীয় সদস্য মারুফা আক্তার পপি, কামরুল ইসলাম, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসনাত, সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, ঢাকা উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম, ঢাকা দক্ষিণের মেয়র সাইদ খোকন প্রমুখ।