ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পাকিস্তানের আকাশ পথ হয়ে নয়, ওমানের আকাশ পথ হয়ে কিরঘিজিস্তানে যাবেন ।
আজ বুধবার দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, মোদির ভিভিআইপি বিমানটি ওমান, ইরান ও মধ্য এশিয়া হয়ে বিশকেকে যাবে। বিশকেকে সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের বৈঠেক যোগ দেবেন মোদি।
ভারতের আবেদনে সারা দিয়ে কিছু দিন আগেই পাক সরকার ‘নীতিগত সিদ্ধান্ত’ নিয়ে জানায় তারা প্রধানমন্ত্রী মোদির বিমান এর জন্য নিজদের আকাশ পথ ব্যবহার করতে দেবে।
এরপরই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, প্রধানমন্ত্রীর ভিভিআইপি বিমান কোন পথ দিয়ে বিশকেকে পৌঁছাবে তা ঠিক করতে কয়েকটি বিকল্প খতিয়ে দেখা হয়। দুটি পথ প্রাথমিকভাবে চূড়ান্ত হয়েছিল। তার মধ্যে একটিকে বেছে নেওয়া হয়েছে। ঠিক হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর ভিভিআইপি বিমান ওমান, ইরান এবং মধ্য এশিয়ার দেশ হয়ে গন্তব্যে পৌঁছাবে।
বালাকোটে ভারতীয় বিমান বাহিনীর স্ট্রাইকের পর থেকে পাকিস্তান তাদের আকাশপথ ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। ভারতের জন্য মোট ১১টি আকাশ পথ বন্ধ করা হয়েছিল। তার মধ্যে মাত্র দুটি খুলে দেওয়া হয়েছে পরবর্তী সময়ে।
এরপরই মোদির সফরকে কেন্দ্র করে ভারতের তরফে পাক প্রশাসনকে তাদের দেশের আকাশ পথ ব্যবাহার সংক্রান্ত বিষয় একটি অনুরোধ করা হয়েছিল। তারা যাতে প্রধানমন্ত্রী মোদির বিমান নিজেদের আকাশপথ দিয়ে উড়তে দেয়, সে ব্যাপারেই অনুমতি চাওয়া হয়েছিল।
তাতে সম্মতিও দেয় পাক-প্রশাসন। গত সোমবার এই খবর প্রকাশ্যে আসে। বলা হয় এ ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইমরান খানের সরকার। প্রশাসনের তরফে ওই সংবাদ সংস্থাকে এ কথাও বলা হয়েছিল যে পাকিস্তান আশা করে ভারতও দু’দেশের মধ্যে শান্তি স্থাপনে ইতিবাচক পদক্ষেপ নেবে।
কিন্তু ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ভারতের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হল পাকিস্তানের আকাশপথে যাবে না নরেন্দ্র মোদির বিমান। এর আগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, বিশকেকের সম্মেলনে ইমরান খানের সঙ্গে কথা হবে না প্রধানমন্ত্রী মোদির।