দীর্ঘ ৯ বছর পর আবারো নতুন প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হচ্ছে। এ খাতে পর্যাপ্ত বরাদ্দ রাখা হয়েছে বলে আজ বৃহস্পতিবার সংসদে জানানো হয়েছে। তবে কত টাকার বরাদ্দ রাখা হয়েছে এ বিষয়ে কোনো তথ্য নেই জানানো হয়নি। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে ১২শ কোটি চাওয়া হয়েছে।
সর্বশেষ ২০১০ সালে ১ হাজার ৬২৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হয়েছিল। এরপর অর্থ সংকটের কারণে দেখিয়ে নতুন আর কোনো প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি হয়নি।
গত বছরের জুলাইয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এমপিওভুক্তির জন্য বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জনবলকাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮ জারি করে। আগস্ট মাসে এমপিওভুক্তির জন্য আবেদন নেয় শিক্ষামন্ত্রণালয়। এতে আবেদন করে ৯ হাজার ৬১৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। নীতিমালার আলোকে যাচাই বাছাইয়ের মাধ্যমে সব শর্ত পূরণ করে যোগ্য প্রতিষ্ঠান হয়েছে ২ হাজার ৭৬২ টি।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি চলতি সংসদ অধিবেশনে বলেছেন, বাজেটপ্রাপ্তি অনুযায়ী এমপিওভুক্ত করা হবে। তবে সেই সংখ্যা কোনোভাবেই তিন হাজার অতিক্রম করবে না। তিন হাজারের আশেপাশে হতে পারে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ২৬ হাজার ১৮০টি এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠান রয়েছে। প্রায় পাঁচ লাখ শিক্ষক-কর্মচারী রয়েছেন এসব প্রতিষ্ঠানে। এদের জন্য বছরে ১৪ হাজার কোটি বরাদ্দ থাকে।
আগামী ২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রাথমিক শিক্ষা খাতে ২৪ হাজার ৪০ কোটি টাকা বরাদ্দে প্রস্তাব করা হয়েছে করছে, যা ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ছিল ২০ হাজার ৫২১ কোটি টাকা।
- আরও পড়ুন>> বাজেট অধিবেশনে ৬ বছর পর বিএনপি
২০১৯-২০ অর্থবছর শুধুমাত্র মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা খাতে উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে, যা বর্তমান ২০১৮-১৯ অর্থবছরের উন্নয়ন বরাদ্দে তুলনায় ৫৪ শতাংশ বেশি।
আগামী ২০১৯-২০ অর্থবছরে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা খাতে ২৯ হাজার ৬২৪ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে, যা বর্তমান ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ছিল ২৫ হাজার ৮৬৬ কোটি টাকা।
কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষার জন্য ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৭ হাজার ৪৫৪ রকাটি টাকা বরাদ্দে প্রস্তাব করা হয়। যা ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ছিল ৫ হাজার ৭৫৮ কোটি টাকা।
বর্তমানে ২৮টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। আগামী ২০১৯-২০ অর্থবছরে এ খাতে মোট বরাদ্দ ৮৭ হাজার ৬২০ কোটি টাকা যা মোট বাজেট বরাদ্দের ১৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ এবং জিডিপি’র ৩.০৪ শতাংশ।