বাজেট নিয়ে ক্ষুব্ধ সংস্কৃতিকর্মীরা

স্টাফ রিপোর্টার

এবারের বাজেট নিয়ে সংস্কৃতিকর্মীরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। গতবারের সংশোধিত বাজেট থেকে এবার ৮ শতাংশ বরাদ্দ কমেছে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বাজেটে।

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট পেশ করছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল। এবারের বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৫ লক্ষ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা যা জিডিপির ১৮ দশমিক ১ শতাংশ। এর মধ্যে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে এবার বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছে ৫৭৫ কোটি টাকা। গত বছর প্রস্তাবিত বাজেট ছিল ৫১০ কোটি, সংশোধিত বাজেট ছিল ৬২৫ কোটি টাকা।

অন্যদিকে তথ্য মন্ত্রণালয়ের বিনোদন, সংস্কৃতি ও ধর্ম খাতে গতবার প্রস্তাবিত বাজেট ছিল ১১৬৫ কোটি, সংশোধিত বাজেট ছিল ৯২৮ কোটি। এবারের প্রস্তাবিত বাজেট ধরা হয়েছে ৯৮৯ কোটি টাকা। এই বাজেট দেশের সংস্কৃতিচর্চার জন্য মোটেও সন্তোষজনক নয় বলে মন্তব্য করেছেন দেশের বরেণ্য সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বরা।

সম্মিলিত সাংষ্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ বলেন, ‘দেশে জঙ্গীবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠলেই সংস্কৃতি গুরুত্বপূর্ণ বলে গলা ফাটাই। অথচ বাস্তবে সংস্কৃতিচর্চাকে লালনের জন্য কোনো পৃষ্ঠপোষকতা করি না। এই বাজেট দেখে আমরা হতাশ, বিস্মিত! সংস্কৃতি খাতে মূল বাজেটের ১ শতাংশ করার দাবি ছিল আমাদের। সেটা করা হয়নি। এখনো সুযোগ আছে। সরকারের কাছে আমাদের দাবি সংস্কৃতি খাতের বাজেট বাড়ানো হোক।’

ইন্টারন্যাশনাল থিয়েটার ইন্সটিটিউটের সাম্মানিক সভাপতি রামেন্দু মজুমদার বলেন, ‘এটা খুবই হতাশাজনক। দেশব্যাপি শুদ্ধ সংস্কৃতিচর্চাকে এগিয়ে নিতে চাইলে সংস্কৃতি খাতে বরাদ্দ বাড়াতে হবে। সরকারের কাছে আমাদের দাবি মূল বাজেটের এক শতাংশ করা হোক সংস্কৃতি খাতের বাজেট।’

চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব ও সাংসদ ফারুক বলেন, ‘চলচ্চিত্র খাতের বরাদ্দ আরেকটু বাড়ানো যেতো। এবার যেটা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে সেটা সামগ্রিক বরাদ্দের তুলনায় সামান্যই বলবো। চলচ্চিত্র শিল্পকে এগিয়ে নেয়ার এই খাতে রাষ্ট্রের আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতাও জরুরি। তবে সামগ্রিক বাজেট সন্তোষজনক, এই বাজেট দেশের উন্নয়নকে এগিয়ে নেবে বলেই আমার বিশ্বাস।’

মামুনুর রশীদ বলেন, ‘আমরা দাবি করেছিলাম মূল বাজেটের দুই শতাংশ যেন সংস্কৃতি খাতের বাজেট হয়। সেটা করা হয়নি। তবে কী সরকার চায়, সংস্কৃতি আরো ধ্বংস হোক। মূল বাজেটের অন্তত এক শতাংশ সংস্কৃতি খাতে বরাদ্দ দেয়ার দাবি জানাই।’

বৃহস্পতিবার বাজেট অধিবেশনে সভাপতিত্ব করছেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সংসদ নেতা অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন। এর আগে দুপুর সোয়া ২টা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদ ভবনে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে ২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকারের টানা তৃতীয় মেয়াদের প্রথম বাজেটের অনুমোদন দেওয়া হয়।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে