প্রস্তাবিত ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটকে স্বাগত জানিয়ে আনন্দ মিছিল করেছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ।রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে এ আনন্দ মিছিল করেন নেতাকর্মীরা।
মিছিল-পূর্ব সমাবেশে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ বলেন, ‘ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী যৌথভাবে একটি জনমুখী এবং কল্যাণমুখী বাজেট উত্থাপন করেছেন। এ বাজেটের জন্য বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানাই।’
এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন অদম্য গতিতে এগিয়ে যাবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এদিকে আনন্দ মিছিল বের করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগ। এবারের বাজেটকে গরিবের বাজেট বলে অভিহিত করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট বলেন, ‘এবারের বাজেট গরিবের বাজেট। এ বাজেট কর্মসংস্থানের বাজেট। বাজেটে মেট্রোরেলের মতো মেগা প্রজেক্ট বাস্তবায়ন হবে, যা দেশকে এগিয়ে নেবে।’
- আরও পড়ুন >> বাজেট : হাইটেক পার্কে কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ
এর আগে বিকেল ৩টায় জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বাজেট অধিবেশন শুরু হয়। ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত এ বাজেট দেশের ৪৮তম এবং বর্তমান সরকারের তৃতীয় মেয়াদের প্রথম বাজেট। ‘সমৃদ্ধ আগামীর পথযাত্রায় বাংলাদেশ : সময় এখন আমাদের, সময় এখন বাংলাদেশের’ শিরোনামে প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ধরা হয় পাঁচ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা। দেশের ৪৮ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বাজেট এটি।
বরাবরের মতো বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী। নতুন অর্থমন্ত্রী হিসেবে এটি আ হ ম মুস্তফা কামালের প্রথম বাজেট।
শুরুতে দাঁড়িয়ে বাজেট বক্তৃতা শুরু করলেও পরে স্পিকারের অনুমতি নিয়ে অর্থমন্ত্রী নিজ আসনে বসে প্রস্তাবিত ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করেন। কিন্তু বিকেল ৪টার পর অসুস্থ অর্থমন্ত্রীর পক্ষে প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন সম্ভব না হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্পিকারের অনুমতি নিয়ে বাকি অংশ সংসদে উপস্থাপন করেন।
বিকেল ৪টা ৪১ মিনিটে ‘প্রস্তাবিত বাজেট সংসদে উপস্থাপিত হলো’ মর্মে ঘোষণা দেন স্পিকার।
প্রস্তাবিত বাজেট পাস হবে ৩০ জুন। ১ জুলাই থেকে শুরু হবে নতুন অর্থবছর।