হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি সারাহ হাকেবি স্যান্ডার্স তার দায়িত্ব ছেড়ে দিচ্ছেন বলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন।
২০১৭ সালের জুলাইয়ে শন স্পাইসারের স্থলাভিষিক্ত হওয়ার আগে সারাহ হোয়াইট হাউসে ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি হিসেবে যাত্রা শুরু করেছিলেন।
ট্রাম্প বলেছেন, তার মুখপাত্র জুনের শেষে নিজের অঙ্গরাজ্য আরকানসোতে ফিরে যাবেন।
নতুন কে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র হচ্ছেন, সে সম্বন্ধে কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে বিবিসি।
রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দুই বছর ধরে তার মুখপাত্রের দায়িত্ব সামলানো সারাহকে ‘লড়াকু’ হিসেবে অ্যাখ্যা দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসের এক অনুষ্ঠানে তিনি প্রেস সেক্রেটারিকে ‘বিশেষ ব্যক্তি ও চমৎকার নারী’ হিসেবে অভিহিত করেন।
‘সে লড়াকু, আমরা সবাই লড়াকু। আমাদের লড়াকু হতে হবে,’ বলেছেন ট্রাম্প।
পাল্টা বক্তব্যে ট্রাম্প ও অন্যদের কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন সারাহ। তিনি বলেছেন, ‘এটা এমন কিছু, যা আমি সারাজীবন ধরে আগলে রাখবো।’
ট্রাম্পের প্রতি বিশ্বস্ত এবং প্রেসিডেন্টের পক্ষে দৃঢ় অবস্থান নেওয়া অব্যাহত রাখবেন বলেও আশ্বাস দিয়েছেন ৩৬ বছর বয়সী এ নারী।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি থাকাকালে সারাহ স্যান্ডার্সের যোগ্যতা নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠেছে। মেয়াদকালে সাংবাদিকদের মুখোমুখিও তিনি কম হয়েছেন বলে জানিয়েছে আমেরিকান প্রেসিডেন্টি প্রজেক্ট।
‘ঈশ্বর ডনাল্ড ট্রাম্পকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে চেয়েছেন’ মন্তব্যের জন্য বিখ্যাত সারাহ সর্বশেষ সংবাদ সম্মেলন করেছেন ১১ মার্চ, তার বিদায়ের ঘোষণা আসারও তিন মাস আগে।
ট্রাম্পের মতো এ নারীও গণমাধ্যমের ‘ভুয়া সংবাদ’ নিয়ে উচ্চকিত ছিলেন।
জুনে দায়িত্ব ছাড়লে কে তার স্থলাভিষিক্ত হবেন, ট্রাম্প তা জানাননি।
এ নিয়ে রিপাবলিকান এ প্রেসিডেন্টের মেয়াদের আড়াই বছরে হোয়াইট হাউজ অনেক রদবদল দেখলো।
এদের অনেকে স্বেচ্ছায় দায়িত্ব ছেড়েছেন, কাউকে কাউকে ট্রাম্পই সরিয়ে দিয়েছেন।
এ রদবদলকে ট্রাম্প প্রশাসনে ধারাবাহিক নীতি বদলের দৃশ্যমান রূপ হিসেবেই দেখে আসছেন পর্যবেক্ষকরা।
তিন সন্তানের জননী সারাহ অবশ্য পদত্যাগের পেছনে পরিবারকে বেশি সময় দেয়ার আগ্রহকেই কারণ হিসেবে দেখিয়েছেন।