জাতিসংঘ সদর দপ্তরে সংস্থাটির ‘অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ- ইকোসক’ এর সদস্য পদে নির্বাচনে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছে বাংলাদেশ। ১৯১টি ভোটের মধ্যে ১৮১টি ভোট পেয়ে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চল থেকে ৫৪ সদস্যবিশিষ্ট মর্যাদাপূর্ণ এই পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছে বাংলাদেশ।
গতকাল শুক্রবার অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে বাংলাদেশ ছাড়াও তিন বছর মেয়াদে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চল থেকে থাইল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া ও চীন বিজয়ী হয়।
এই বিজয় অর্জনের মধ্য দিয়ে ২০২০ থেকে ২০২২ মেয়াদে জাতিসংঘের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফোরাম ইকোসকে তার অবস্থান নিশ্চিত করল বাংলাদেশ।
- আরও পড়ুন >> কৌতিনহো ম্যাজিকে বলিভিয়াকে উড়িয়ে দিল ব্রাজিল
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশ রূপকল্প ২০২১ ও এজেন্ডা ২০৩০ অর্জনে অদম্য গতিতে এগিয়ে চলেছে। সেই সাথে বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। বিপুল ভোটে এই বিজয় তারই বৈশ্বিক স্বীকৃতি বলে মন্তব্য করেন সেখানে উপস্থিত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি মারিয়া ফার্নেন্দা এপসিনোসা গার্সেজের সভাপতিত্বে গোপন ভোটে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পর সাংবাদিকদের সামনে প্রতিক্রিয়া জানান জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদ্যাপনের ঠিক আগে এমন বিজয় বাংলাদেশের মানুষের জন্য এক অনন্য উপহার।
গত বছর বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের অগ্রযাত্রার প্রাথমিক ধাপ এলডিসি থেকে উত্তরণের যোগ্যতা অর্জন করেছে। সেই প্রসঙ্গ তুলে ধরে রাষ্ট্রদূত মাসুদ আরও বলেন, টেকসই উত্তরণ নিশ্চিতে ইকোসকের এই সদস্যপদ লাভ আমাদেরকে আরো সামনে এগিয়ে নেবে। এ ছাড়া এজেন্ডা ২০৩০ বাস্তবায়নেও এই বিজয় নতুন গতি আনবে।
ইকোসকের সদস্যপদের মাধ্যমে বাংলাদেশ এর আওতায় থাকা বিভিন্ন ফোরাম, কমিশন, কমিটি, নির্বাহী বোর্ড ও আঞ্চলিক ফোরামের সাথে এজেন্ডা ২০৩০ বাস্তবায়নে আরো নিবিড়ভাবে কাজ করার সুযোগ পাবে বলে মন্তব্য করেন রাষ্ট্রদূত।
ইকোসকে আগামী ২০২০ সালের জানুয়ারি মাস থেকে তিন বছর মেয়াদে বাংলাদেশ দায়িত্ব পালন করবে। এর আগে ২০১৮ সালে বাংলাদেশ জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের সদস্য নির্বাচিত হয়ে তিন বছর মেয়াদে দায়িত্ব পালন করছে বাংলাদেশ।