দেড় মাসের বেশি সময়ে ধরে রাজধানীর গেন্ডারিয়ার আজগর আলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন কিংবদন্তি অভিনেতা এ টি এম শামসুজ্জামান। তবে শনিবার এই হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেলেন তিনি।
তবে বাসায় যাচ্ছেন না বাংলা চলচ্চিত্রের তুখোড় এই অভিনেতা। বরং আজগর আলী হাসপাতাল থেকে স্থানান্তর করে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে। এমনটাই জানিয়েছেন এ টি এম শামসুজ্জামানের ছোট ভাই সেলিম।
সেলিম জানান, শনিবার দুপুরে আজগর আলী হাসপাতাল থেকে এ টি এমকে বিএসএমএমইউতে স্থানান্তর করা হয়েছে। এই হাসপাতালের ২১২ নাম্বার কেবিন দেয়া হয়েছে তাকে।
নার্সিং সেবা দেওয়ার পাশাপাশি টেস্ট ফিজিওথেরাপিও দিতেই বিএসএমএমইউ নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
এর আগে গেল মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে এটিএম শামসুজ্জামানের চিকিৎসার সব ধরনের দায়িত্ব নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই অভিনেতার চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ১০ লাখ টাকার চেক দেওয়া হয়।
গত ২৬ এপ্রিল রাতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন এটিএম শামসুজ্জামান। মল-মূত্র বন্ধ হয়ে যায়। শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। ওইদিন রাত এগারোটার দিকে তাকে ভর্তি করা হয় রাজধানীর গেণ্ডারিয়ার আজগর আলী হাসপাতালে। তারপর দিন অপারেশন শেষে পর্যবেক্ষণে রাখা হয় এটিএম শামসুজ্জামানকে। এরপর অবস্থার আরো অবনতি হলে ৩০ এপ্রিল থেকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয় কিংবদন্তি এই অভিনেতাকে।
ষাটের দশকের শুরুতে পরিচালক উদয়ন চৌধুরীর ‘বিষকন্যা’ চলচ্চিত্রে সহকারী পরিচালক হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেন এটিএম শামসুজ্জামান। প্রথম কাহিনী ও চিত্রনাট্যকার হিসেবে কাজ করেছেন ‘জলছবি’ ছবিতে। এ পর্যন্ত শতাধিক চিত্রনাট্য ও কাহিনী লিখেছেন। প্রথম দিকে কৌতুক অভিনেতা হিসেবে চলচ্চিত্র জীবন শুরু করলেও খল অভিনেতা হিসেবেই জনপ্রিয়তা পান এটিএম।
- আরও পড়ুন, ‘ঢাকা অ্যাটাক’-এর পর ‘অপারেশন সুন্দরবন’
দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত কারণে অভিনয় থেকে দূরে থাকলেও মাঝেমধ্যেই শখের বশে ছোট ছোট চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা গেছে তাকে। তার অভিনীত মুক্তিপ্রাপ্ত সর্বশেষ ছবি নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চুর ‘আলফা’। ২৬ এপ্রিল ছবিটি দেশের চারটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায়।