দুই এসআইয়ের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামে মামলা

আইন ও বিচার ডেস্ক

পুলিশের চাকরি মিলবে ১০৩ টাকায়
ফাইল ছবি

চট্টগ্রামে ইয়াবাসহ উপ-পুলিশ পরির্দশকে (এসআই) গ্রেফতারের ঘটনায় দুই এসআইসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে নগর পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট।

আজ শনিবার নগরের ডবলমুরিং থানায় মামলাটি করেন কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের উপ-পরিদর্শক সঞ্জয় গুহ।

মামলায় গ্রেফতার এসআই সিদ্দিকুর রহমান ও পলাতক চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানার টিএসআই বাবলু খন্দকারকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তিকেও আসামি করা হয়েছে।

এদিকে সিদ্দিকুর রহমানকে আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের এসআই রাছিব খান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সিদ্দিকুর রহমান জানিয়েছে রেলওয়ে থানার টিএসআই বাবলু খন্দকারের মাধ্যমে এক ব্যক্তির কাছ থেকে ইয়াবাগুলো সংগ্রহ করেছেন তিনি। সিদ্দিকুরকে গ্রেফতারের পর থেকে বাবলু খন্দকার কর্মস্থলে অনুপস্থিত। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। অজ্ঞাত যে ব্যক্তির কাছ থেকে ইয়াবাগুলো সংগ্রহ করেছে তাকেও শনাক্তের চেষ্টা চলছে। সিদ্দিকুরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রোববার আদালতে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানানো হবে।’

এদিকে ঘটনার পর থেকে কর্মস্থল থেকে পালিয়ে গেছে রেলওয়ে থানার টিএসআই বাবলু খন্দকার। তাকে গ্রেফতারের অভিযান চালিয়েও ব্যর্থ হয়েছে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট।

রেলওয়ে চট্টগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজ ভূঁঈয়া বলেন, ‘ব্যক্তির অপকর্মের দায় ডিপার্টমেন্ট নিবে না। কর্মস্থলে অনুপস্থিত বাবলু খন্দকার। তার অনুপস্থিতির বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নিতে যত ধরণের সহযোগিতা প্রয়োজন তা রেলওয়ে থানার পক্ষ থেকে করা হবে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার কপি পেলে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সুপারিশ করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।’

এর আগে শুক্রবার রাতে নগরের ডবলমুরিং থানার আগ্রাবাদ সিজিএস কলোনী থেকে ১০ হাজার ইয়াবাসহ নগর পুলিশের বন্দর বিভাগের এসআই সিদ্দিকুর রহমানকে র‌্যাব ও কাউন্টার টেরোরিজমের যৌথ অভিযানে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে ইয়াবা বিক্রির ৮০ হাজার টাকাও উদ্ধার করা হয়।

রেলওয়ে থানার টিএসআই বাবলু খন্দকারের সঙ্গে মিলে ইয়াবা বেচাকেনা করতেন বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন সিদ্দিকুর রহমান। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া প্রসঙ্গে নগর পুলিশের উপ কমিশনার (বন্দর) হামিদুল আলম বলেন, ‘ইতিমধ্যে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলার কপি হাতে পেলে তাকে বরখাস্ত করা হবে।’

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে