প্রস্তাবিত বাজেটকে প্রত্যাখ্যান করেছে গণফোরাম

বিশেষ প্রতিনিধি

২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট প্রত্যাখ্যান করে কর্মসূচির কথা ভাবছে গণফোরাম। শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে গণফোরামের পক্ষ থেকে বাজেট প্রতিক্রিয়া সংবাদ সম্মেলনে দলটির সভাপতি ড. কামাল হোসেন এ ঘোষণা দেন।

তিনি বলেন, বর্তমান বাজেটকে আমরা সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করছি। এই বাজেট পাস হলে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরিকদের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী কর্মসূচি নির্ধারণ করা হবে বলে জানান তিনি।

universel cardiac hospital

এর আগে গণফোরাম সাধারণ সম্পাদক ড. রেজা কিবরিয়া দলের পক্ষ থেকে বাজেট প্রতিক্রিয়ার লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন।

রেজা কিবরিয়া বলেন, এটি জনগণের বাজেট নয়। অদূরদর্শী ও দুর্বলভাবে প্রণীত বাজেট যা দেশের প্রকৃত সমস্যা মোকাবিলার কোনো চেষ্টা নেই।

তিনি বলেন, এই সরকারের বাজেট আমাদের নাগরিকদের ইচ্ছার প্রতিফলন নয় এবং এটি যে দেশের প্রয়োজনীয়তা পূরণের লক্ষ্যে প্রণয়ন করা হয়নি এটাতে অবাক হওয়ার কোনো কারণ নেই। সুতরাং একটি সত্যিকারের প্রতিনিধিত্বশীল সরকার গঠনের লক্ষ্যে অনতিবিলম্বে দেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি আরও বলেন, দেশবাসীর সম্মুখে উপস্থিত কঠিন অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় কঠিন পদক্ষেপ গ্রহণে কেবল সেই নির্বাচিত সরকারই যথার্থ আত্মবিশ্বাস থাকবে ও এই ব্যাপারে বাংলাদেশের জনগণের সমর্থন থাকবে।

গণফোরাম সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাজেট কেবল সরকারের পরবর্তী বছরের আয়-ব্যয়ের হিসাব নয়। এটি আসন্ন বছরগুলোতে সরকারের নীতি কৌশল কি হবে তারও একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল। বাজেটকে সরকারের অর্থনৈতিক কার্যক্রম সম্প্রসারণ এবং আর্থিক ও সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতাকে সহায়তা করার অন্যতম দলিল হিসেবেও বিবেচনা করতে হবে।

রেজা কিবরিয়া বলেন, এই বাজেট দুটি বিবেচনায় হতাশাজনক। (১) এটি রাজস্ব ও ঋণের সঠিক প্রাক্কলন প্রদানে এবং সাম্প্রতিক বছরগুলোয় বাজেট ঘাটতি বিবেচনায় নিতে ব্যর্থ হয়েছে। (২) এ বাজেট বিগত বছরগুলোর হঠকারী বাজেট ও সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতির ফলে আর্থিক খাতে ও সার্বিক অর্থনীতিতে সৃষ্ট আসন্ন সংকট উদ্ভূত ঝুঁকি সম্পর্কে অজ্ঞতা প্রদর্শন করা হয়েছে।

সব সূত্র কী নির্দেশ করছে যে অর্থনীতিতে শিগগিরই নিকট অতীতের সামষ্টিক অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনা নেতিবাচক প্রভাব আসন্ন। এই বাজেটে অর্থনীতি এখন সত্যিকারের যে বিপদের সম্মুখীন সে সম্পর্কে অজ্ঞতা প্রকাশ পেয়েছে।

তিনি আর বলেন, বিশ্ব অর্থনীতিতে বাণিজ্য বিরোধ নিয়ে যে সংখ্যা বিরাজমান তার ফলে আমাদের সামষ্টিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক ভারসাম্যহীনতার ঝুঁকি সৃষ্টি হয়েছে। এই বাজেটে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো বিবেচনায় নেয়া হয়নি। এবং এগুলো সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা যেসব ঝুঁকি তৈরি করেছে সেসব বিবেচনা করা হয়নি।

এ সময় গণফোরামের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে