ওমান উপসাগরে তেলবাহী দুটি ট্যাঙ্কারে রহস্যজনক হামলার ঘটনায় সম্পূর্ণভাবে ইরান দায়ী বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
শুক্রবার তিনি বলেন, এ হামলায় ইরান কোনোভাবে জড়িত না তেহরানের এমন দাবি প্রত্যাখান করে তাদেরকে দায়ী করলো ট্রাম্প। খবর এএফপির।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে তাদের মধ্যে সংঘাত বেঁধে গেলে ইরান বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ তেল সরবরাহ পথ হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দিতে পারে তেহরানের আগের এমন হুমকি উড়িয়ে দিয়েছেন ট্রাম্প।
মার্কিন সামরিক বাহিনী একটি ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করার কয়েক ঘণ্টা পর ট্রাম্প জোরালোভাবে বলেন, ওই ভিডিও ফুটেজে ট্যাঙ্কারগুলোর একটি থেকে অবিস্ফোরিত একটি মাইন ইরানের টহল নৌযানকে সরিয়ে ফেলতে দেখা যাচ্ছে। মাইনটি জাহাজের সাথে বেঁধে রাখা হয়েছিল।
ট্রাম্প ফক্স নিউজকে বলেন, ‘ইরান এটা করে। আপনারা জানেন তারাই এটি করেছে কারণ আপনারা নৌযানটি দেখেছেন। আমি ধারণা করছি মাইনগুলোর একটি বিস্ফোরিত হয়নি। আর এটি তাদের সরিয়ে ফেলা জরুরি ছিল কারণে এতে ইরানের নাম থাকতে পারে। এতে প্রমাণিত হয় যে এ হামলার ঘটনায় তেহরান পরোপুরি জড়িত রয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন নৌযানটি রাতে মাইনটি খুলে নেয়ার চেষ্টা করছে এবং এ কাজে তারা সফলও হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের এমন অভিযোগ প্রত্যাখান করেছে ইরান
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাভেদ জারিফ টুইটার বার্তায় বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র কোন প্রমাণ ছাড়াই এ হামলার ব্যাপারে তড়িঘড়ি করে তেহরানকে দায়ী করে।
এদিকে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতেরেস এ হামলার ব্যাপারে নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন।
নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদরদপ্তরে গুতেরেস সাংবাদিকদের বলেন, ‘এ ঘটনার সত্যটা জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
ব্রিটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জারেমি হান্ট বলেন, তাদের দেশেরও ধারণা যে এ হামলার পেছনে ইরানের হাত রয়েছে এটা প্রায় নিশ্চিত।
লন্ডন বৃহস্পতিবারের এ হামলায় ইসলামি বিপ্লবী গার্ডকে দায়ী করেছে। এটি ইরানের সামরিক বাহিনীর একটি বৃহত্তম ও শক্তিশালী শাখা।