অন্ধকারে বসে থাকেন বনসাই বাবা

মোজাফ্ফর হোসেন

জুনের দ্বিতীয় রবিবার, ১৬ জুন। বিশ্ব বাবা দিবস। বাবা দিবস উপলক্ষে সকল বাবাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে মত ও পথের এই আয়োজন।

ইফতারে বসা। আজান কানে আসা মাত্রই আমি পানি মুখে দিই; নিলু লেবুর শরবতটা ঠোঁটে একবার ঠেকিয়ে নামিয়ে রাখে। সুগার কম হয়েছে, তিতা লাগছে—বলতে বলতে একটা খেজুর হাতে তোলে । বাবা অপেক্ষা করেন। বাবা আজান হচ্ছে তো—আমি মৃদুস্বরে বলি।

এ তো ঢাকার আজান! ৬ মিনিটি যোগ করতে হবে যে। বাবা বলেন।

বাবা ভুলে যান তিনি এখন ঢাকাতেই আছেন। গত পাঁচ বছর হলো তিনি মেহেরপুর ছেড়ে ঢাকায় আমাদের মোহাম্মদপুরের বাসায় উঠেছেন। পাঁচ বছর থেকে একই ভুল করছেন।

খ.

হঠাত্ করেই চলে গেল মা। গ্রামের বাড়িটা মেজভাই জালসই করে নিজের নামে লিখে নিয়েছিল আগেই। মা মারা যাওয়ার পর দলিল দেখিয়ে দখল নিল। বাবা জেলা শহরে বড়ভাইয়ের বাড়িতে উঠলেন; মানে আশ্রয় নিলেন। শর্ত হলো বাবার নামে মাঠে যে চল্লিশ শতক জমি আছে ওটা আশ্রয়দাতা হিসেবে বড়ভাই পাবেন। আমি খোঁজখবর নিতাম ফোনে, শর্তহীন—দায়িত্ববোধ থেকেই হয়তো। ভালোবাসা তার সঙ্গে কিছুটা থাকলেও থাকতে পারে। বাবা ফোনে কথা বলতেন না বলে বহুদিন কোনো কথা হতো না। বলতেন, ওটা ধরতে তার নাকি ভয় করে!

আমি সে-বার বাড়ি গিয়ে দেখি বাবা জড়সড় হয়ে ছাদের এক কোনায় বসে আছেন। রোদে পুড়ে যাচ্ছে তাঁর শরীর। আমাকে দেখে প্রথমে চিনতে পারেননি বলে মনে হলো। খানিকক্ষণ আমার কথা শোনার পর বললেন, ওহ তুই? ফেরত যাচ্ছিস বুঝি?

সবে এলাম বাবা। বলি আমি।

তবে যে তোকে ক’দিন থেকে দেখছি! বাবা নিচু স্বরে বললেন।

ভুল দেখেছ। কিংবা বড়ভাইকে কখনো কখনো আমি বলে মনে করেছ। আমার কথা শুনে বাবা সম্মতিসূচক মাথা দুলিয়ে বললেন, চোখের কি যেন হয়েছে—সব মানুষ আর গাছকে এক বলে মনে হয়।

এই রোদে কেউ এভাবে পিঠ-বুক পেতে বসে থাকে? চলো, ঘরে চলো। বললাম আমি।

রোজই তো থাকি। শিশুর মতো সরলভাবে উত্তর করেন বাবা।

নিশ্চয় ভালো করো না। এজন্যেই তুমি এমন পুড়ে কালো হয়ে গেছ। মা থাকতে তোমার শরীরটা বেশ চকচক করত। এখন এই পোড়া শরীর নিয়ে মা’র কাছে গেলে মা তোমাকে চিনবে তো! আর আমাদের বকে রাখবে মনে করছ?

‘বড়ভাই লুকিয়ে লুকিয়ে বাবার চশমাটা চোখে দিয়ে মাস্টারির অভিনয় করত। আমরা ছোটরা ছাত্র হতাম। একদিন সে চশমাটা ভেঙে ফেলল।’

বাবা আর কথা না বলে আমার আগে আগে ঘরে চলে আসেন। বাবাকে দেখা মাত্রই বড়ভাই বকে ওঠে, এখন আবার নামলেন কেন? শিপুর টিচার পড়াচ্ছে। আপনি ঘরে গেলে ও পড়বে কেমন করে? শিপু বড়ভাইয়ের ছোটছেলে। বাবা আর শিপু এক ঘরে থাকে। শিপু বিছানায়, বাবা মেঝেতে। বড়ভাইয়ের কথায় লজ্জা পেয়ে বাবা আবার ছাদে ফিরে গেলেন। এই বাবাকে আমরা ছোট থাকতে ভীষণ ভয় পেতাম। সবচেয়ে বেশি ভয় পেত বড়ভাই। আমি ছোট হওয়াতে যেকোনো বিষয়ে তারা বাবার মুখোমুখি আমাকে ঢাল হিসেবে দাঁড় করাত। বাবা আমাকেও ছাড় দিবেন না জেনেও এক টাকায় চারটি লজেন্সের লোভে দাঁড়িয়ে থাকতাম। নিতান্তই শিশু হিসেবে কিছুটা ছাড় তো পেতামই।

বড়ভাই লুকিয়ে লুকিয়ে বাবার চশমাটা চোখে দিয়ে মাস্টারির অভিনয় করত। আমরা ছোটরা ছাত্র হতাম। একদিন সে চশমাটা ভেঙে ফেলল। দায় নিতে হলো আমাকে। বাবা আমার কানটা এমন করে ধরলেন যেন ব্যথা না পাই, কিন্তু ভয়টা পাই। পরদিন দেখলাম বাবা একটা রঙিন চশমা কিনে এনেছেন। প্লাস্টিকের। আমার হাতে দিয়ে বললেন, ওই বাঁদরটাকে দি-গা। প্লাস্টিকের গ্লাস, বেশি চোখে দিলে চোখের ক্ষতি হবে। বড়ভাই যেদিন শহরের স্কুলে ভর্তি হয়ে বাবার কাছে বিদায় নিলেন, বাবা একটিও কথা বললেন না। সেদিন রাতে আর কিছু খেলেন না; মা বললেন গা গরম হয়েছে বাবার। তিন দিন পর দেখি বাবা সেই চশমাটার ভাঙা অংশটা হাতে নিয়ে মাকে বলছেন, ওকে একটা ভালো চশমা কিনে দেয়া দরকার। বাবার ওভাবে নীরবে ছাদে চলে যাওয়া দেখে সেই দিনের কথাগুলো মনে পড়ল।

বাড়িতে এত মানুষ, মাত্র তিনটা ঘর। এরওপর আবার বাবা! কী করে সব সামলাই বলো? বড়ভাবি আমাকে উদ্দেশ করে কথাগুলো বললেন। ঠিকই তো—একথা বলে আমি আর তাকে কথা বাড়াতে দিলাম না।

দুপুরে বাবা গোসল করতে যাওয়ার সময় দেখলাম পিঠের ওপরের অংশে ডান দিকে আঘাতের চিহ্ন। কী হয়েছে জিজ্ঞেস করতেই, বাবা তাড়াতাড়ি আড়াল করে বাথরুমের দরজা আটকে দিলেন। প্রায় আধাঘণ্টা পর গোসল সেরে বের হয়ে এলেন। চোখ লাল হয়ে উঠেছে। বোধহয় অতিরিক্ত পানি ঢেলেছেন। আমি আর কিছু জানতে চাইনি। পরদিন ঢাকায় ফেরত আসার সময় ভাবিকে বললাম, বাবাকে নিয়ে গেলাম। ভাবি বেশ উত্সাহ নিয়ে বাবার কাপড়চোপড় গুছিয়ে দিলো, বড়ভাই দুটো এসি বাসের টিকিট কিনে এনে আমার হাতে তুলে দিয়ে বলল, এসি বাবার সহ্য হয় না। সাবধানে নিস।

গ.

বাবা ঠিক ঘড়ি ধরে ঢাকার আজানের ৬ মিনিট পর ইফতার শুরু করলেন। নিলু উঠে গেল। আমিও উঠে পড়লাম। বাবা নিজের মতো খেয়ে নামাজে বের হলেন। নামাজ শেষ করে তিনি মুখটা এমন ভার করে বাড়ি ফেরেন, মনে হয় যেন জানাজা থেকে ফিরলেন। এইমাত্র খুব কাছের কেউ চলে গেল।

বাবা, মন খারাপ? মায়ের কথা মনে পড়ছে? জিজ্ঞেস করি আমি।

পাকুড়গাছটা কোথাও পেলাম না। বলে বাবা নিজের ঘরে চলে যান। শুনেছি বাবা আর দাদা একসঙ্গে বাড়ির পেছনের পাকুড় গাছটি লাগিয়েছিলেন। সে-বার খুব বর্ষা ছিল। দাদা নাকি বাবাকে বলেছিল, আমি যখন থাকব না, তখন গাছটির তলায় দাঁড়ালে আমাকে পাবি।

বছর দুয়েক আগে গাছটি কেটে বড়ভাই ফার্নিচার বানিয়েছে। আমার ভাগের অংশটা নিজে নিয়ে টাকা পাঠিয়েছে। সেই টাকা দিয়ে আমি বাবাকে বারান্দায় বসার আরাম চেয়ারটা কিনে দিয়েছি—বাবাকে আর বলি না সেকথা। বাবা আলো না জ্বালিয়ে বারান্দায় গিয়ে বসেন। পাশে কয়েকটি বনসাইয়ের টব আছে। বনসাইগুলো হালকা বাতাসে একটু নড়ে আবার স্থির হয়ে যায়। নিলুর এক অধ্যাপক দুলাভাই আছেন, গাছ ধরে ধরে বনসাই বানান। এটাও নাকি আর্ট। আর্ট অব শেপিং। আমি বলি আর্ট অব সাপ্রেশন!

খুব অন্ধকার, মশা আসছে। আলোটা জ্বেলে দিই বাবা? আমি জিজ্ঞেস করি।

বাবা উত্তর দেন না। আমি কতক্ষণ দাঁড়িয়ে এটাসেটা বলি; একতরফা। বাবাকে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করি। একমাত্র ছেলেটা কানাডায় থাকে। একমাত্র মেয়েটা আমেরিকায়। ওদের ঘরদুটো ওদের শৈশবের স্মৃতি আটকে পড়ে আছে। মাঝে মাঝে আমি ঘরদুটো খুলে ওদের স্মৃতি মেখে বসে থাকি। নির্বাক। আমার নিজেরও কথা বলার মানুষ দরকার। বাবা কোনো উত্তর করছে না দেখে হতাশ হয়ে ফিরে আসি। আবার ঘণ্টাখানেক পর একটা ছুঁতো নিয়ে যাই।

বাবা, ভালো কাঁঠাল আছে; আনি? বাবা কিছু না বললেও একপ্লেট কাঁঠালের রোয়া তুলে এনে বাবার হাতে ধরিয়ে দিই।

পান্তা ভাত হবে? কতকাল পান্তা-কাঁঠাল খাইনি! বাবা প্লেটটা ধরে নিয়ে ছায়ার মতো বসে থেকে কথাগুলো বলেন। অথচ তাঁর মুখ নড়ে না—অনেক দূর থেকে ভেসে আসে তাঁর কণ্ঠস্বর।

আমি নিলুকে কিছু না বুঝতে দিয়ে রান্নাঘর থেকে গরম ভাতে ফ্রিজের শীতল পানি ঢেলে বাবার হাতে দিই। বাবা ধরে বসে থাকেন।

বাবা, মা থাকলে তুমি নিশ্চয় এখানে আসতে না? আবার আমি মায়ের প্রসঙ্গ তুলি। কতদিন মাকে নিয়ে কারো সঙ্গে কোনো কথা বলা হয়নি!

বাবা কোনো কথা বলেন না।

একবার মা তোমার পেছনে আমাকে স্পাই হিসেবে নিয়োগ করেছিল। তুমি মাঝে মধ্যে দুপুরে উধাও হয়ে যেতে, মায়ের ধারণা তুমি ফজু চাচার বাড়িতে তাসের আসরে বসতে। তোমাকে দাদা-দাদির কবরের দিকে যেতে দেখে এসে মাকে বলেছিলাম, তুমি ফজু চাচার বাড়িতে! মা তার ধারণা ঠিক হয়েছে এই খুশিতে বোনাসসহ ১০ টাকা দিয়েছিল। তারপর রাতে তোমাদের ভেতর যখন তুমুল ঝগড়া হলো, তুমি বলছিলে তাসের আসরে যাওনি, আর মা কিছুতেই মানছে না, বলছে তার হাতে প্রমাণ আছে; তখন ওই টাকা দিয়ে আমি একটা লাটাই কিনে এনে সুতো আঁটছিলাম। একটুও যে খারাপ লাগছিল না, তা নয়। কিন্তু ঘুড়ি ওড়ানোর জন্যে লাটাইটার খুব দরকার ছিল, বাবা। নিজে একটা লাটাইসহ ঘুড়ির মালিক হওয়ার জন্যে তখন যেকোনো কাজ করতে রাজি ছিলাম। আচ্ছা, তুমি তো জানতে কাণ্ডটা আমার, বকলে না যে? আমি ভয়ে ভয়ে কতদিন যে তোমার আড়াল হয়েছি; জানো?

আমার কথা শুনে বাবা হাসলেন। বহুদিন পর তার হাসি শুনতে পেলাম। অনেক দূর থেকে ভেসে আসছিল সেই হাসির শব্দ।

ঘ.

বাবা ছায়ার মতো নিঃশব্দে উঠে পড়েন। ওজু করে এশার নামাজে বের হন। একা একা নিঃশব্দে যান, নিঃশব্দে আসেন। আমি কেবল নিয়ম করে দরজাটা খুলে দিই। মাঝে মধ্যে আমি সঙ্গে গিয়ে দেখেছি, বাবা মসজিদের প্রবেশপথের পাশঘেঁষে বসেন। নামাজ পড়তে আসা প্রতিটা মুসল্লিদের খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখেন। পরিচিত কাউকে খোঁজেন বোধহয়। ঢাকার এই মসজিদে যে আমাদের গ্রামের কাউকে পাবেন না, সে আমি ভালো করেই জানি, বাবাকে বলতে পারি না। একটা মানুষ প্রতিদিন নিয়ম করে মসজিদে যান, কারো অপেক্ষা করেন, এই আগ্রহটা আমি নষ্ট করে দিতে চাই না।

নামাজ শেষ করে বাবা ফের বারান্দায় এসে বসেন। অন্ধকারে।

বাবা, ঘুমাবে না? বলি আমি।

বাবা, একগ্লাস পানি দিই? আমি জিজ্ঞেস করি।

বাবা, আলোটা দেবো? জানতে চাই আমি।

বাবা আর কথা বলেন না। বসে থাকেন টবের বনসাই বটের দিকে তাকিয়ে।

আমি কতক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে নিলুর ডাকে ফিরে যাই শোবার ঘরে। একটু পরেই আবার সেহরি খেতে উঠতে হবে। সকালে অফিস। রাতজাগা আমার উচিত না। ক’দিন থেকে অফিসে যেতে দেরি হচ্ছে বলে বস্ বলে দিয়েছেন—হালিম সাহেব, রোজাটা বোধহয় আপনার সঙ্গে স্যুট করছে না! ইঙ্গিতটা ভালো না। ঘরে ফেরা মাত্রই নিলু কতক্ষণ আমাকে ভর্ত্সনা করে। আমি ওর কথায় কান না দিয়ে ঘুমিয়ে পড়ার চেষ্টা করি। চেষ্টা করতে করতেই টের পাই নিলু ঘুমুচ্ছে অঘোরে। আমি আবার উঠি। টের পাই বাবা তখনো ঘুমাননি। বারান্দায় তেমনি করে বসে আছেন। ঠায়। অন্ধকারে।

বাবা, ঘুম আসছে না? জানতে চাই আমি।

বাবা কোনো উত্তর করেন না।

বাবা, তোমার শরীর খারাপ? কাল একবার ডাক্তারের কাছে নিই?

বাবা কোনো উত্তর করেন না।

বাবা, তোমার কি কথা বলতে কষ্ট হয়? জিজ্ঞেস করি।

বাবা কোনো উত্তর করেন না।

আমার বাবা প্রাইমারি স্কুলের মাস্টার ছিলেন। স্কুলে-বাড়িতে-বাইরে সবখানেই বাবার কণ্ঠস্বর শোনা যেত। উচ্চৈঃস্বরে কথা বলতেন তিনি। বাবা কোথাও থাকলে সেখানে অন্যরা কথা বলার সুযোগ খুব বেশি পেতেন না। সেই বাবা এখন শব্দহীন এভাবে দিনের পর দিন, রাতের পর রাত কাটিয়ে দিচ্ছেন। আমি মানতে না পেরে উত্তেজিত কণ্ঠে শেষবারের মতো জিজ্ঞেস করি—বাবা, তোমার সমস্যাটা কী?

বাবা এবার মাথাটা একটু তোলেন। কিছু বলতে চান। আমি অপেক্ষা করি আগ্রহ নিয়ে।

কই গেলে তুমি? নিলু ও-ঘর থেকে ডেকে ওঠে।

লেখক পরিচিতি:

মোজাফ্ফর হোসেন, মূলত কথাসাহিত্যিক। গবেষণাও করে থাকেন। তাঁর জন্ম ২১ নভেম্বর, ১৯৮৬। ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতকোত্তর। বর্তমানে বাংলা একাডেমি’র কর্মকর্তা।

প্রকাশিত বই: গল্প— খুন হয়ে যাচ্ছে সব সাদেক (গল্পগ্রন্থ, অন্যপ্রকাশ) দ্বিধা [অন্বেষা, ২০১১] আদিম বুদবুদ অথবা কাঁচামাটির বিগ্রহ [রাত্রি, ২০১২] অতীত একটা ভিনদেশ [বেহুলা বাংলা, ২০১৬] পরাধীন দেশের স্বাধীন মানুষেরা [অগ্রদূত, ২০১৯] প্রবন্ধ— বিশ্বগল্পের বহুমাত্রিক পাঠ [অনুপ্রাণন, ২০১৩] আলোচনা-সমালোচনা [অনুপ্রাণন, ২০১৪] বাংলা সাহিত্যের নানাদিক [গ্রন্থকুটির প্রকাশনী] বিশ্বসাহিত্যের কথা [বেঙ্গল পাবলিকেশন] সাক্ষাৎকার— প্রশ্নের বিপরীতে [অনিন্দ্য প্রকাশ] সম্পাদনা— বিশ্বসাহিত্যের নির্বাচিত প্রবন্ধ [দেশ, ২০১৭] নির্বাচিত হেমিংওয়ে [আলোঘর প্রকাশিত] কল্পে-গল্পে ইলিশ [গল্পসংকলন, সহ-সম্পাদনা, মূর্ধন্য প্রকাশনী] দক্ষিণ এশিয়ার ডায়াসপোরা সাহিত্য [গবেষণা, পাঞ্জেরী প্রকাশনী] পাঠে-বিশ্লেষণে বিশ্বগল্প [ছোটগল্পের তাত্ত্বিক গ্রন্থ, পাঞ্জেরী প্রকাশনী] ইত্যাদি।

পেয়েছেন ‘এক্সিম ব্যাংক অন্যদিন হুমায়ূন আহমেদ সাহিত্য পুরস্কার’ ও আবুল হাসান সাহিত্য পুরস্কার।

অলংকরণ: মাসুক হেলাল ও মীর রবি

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে