আসামিপক্ষের আবেদনে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী অরিত্রী অধিকারীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার মামলায় পিছিয়ে গেছে অভিযোগ গঠনের শুনানি।
আজ রোববার এ মামলায় আসামিদের উপস্থিতিতে অভিযোগ গঠনের জন্য দিন ঠিক করা থাকলেও আসামি পক্ষের প্রধান আইনজীবী শেখ বাহারুল ইসলামের অনুপস্থিতে কনিষ্ঠ আইনজীবী মো. শাহেদ সময় চেয়ে আবেদন করেন।
শুনানি শেষে ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রবিউল আলম আগামী ১০ জুলাই ফের অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন ঠিক করে দেন।
এদিন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন অরিত্রীর শিক্ষক ও মামলার আসামি নাজনীন ফেরদৌস ও জিনাত আরা। নাজনীন ছিলেন ভিকারুননিসার প্রধান ক্যাম্পাসের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক; বেইলি রোডের ওই শাখার প্রভাতি শাখার প্রধান ছিলেন জিনাত।
মামলাটিতে আসামি ছিলেন অরিত্রীর শ্রেণি শিক্ষক হাসনা হেনাও। তবে অভিযোগপত্রে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৩ ডিসেম্বর শান্তিনগরের বাসায় গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী অরিত্রী (১৫)। তার আগের দিন পরীক্ষায় নকল করার অভিযোগে তাকে পরীক্ষা হল থেকে বের করে দিয়েছিল স্কুল কর্তৃপক্ষ।
স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, অরিত্রী পরীক্ষায় মোবাইল ফোনে নকল নিয়ে টেবিলে রেখে লিখছিল। অন্যদিকে স্বজনদের দাবি, নকল করেনি অরিত্রী।
এরপর অরিত্রীর বাবা-মাকে ডেকে নেওয়া হয় স্কুলে। তখন অরিত্রীর সামনে তার বাবা-মাকে অপমান করা হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। ওই দিনই আত্মহত্যা করেন অরিত্রী।
অরিত্রীর আত্মহত্যার পর তার সহপাঠিদের বিক্ষোভে নামে, ৪ ডিসেম্বর তার বাবা দিলীপ অধিকারী আত্মহননে প্ররোচনার অভিযোগ এনে মামলা করেন। ওই মামলায় অরিত্রীর শিক্ষকদের পুলিশ গ্রেপ্তারও করলেও পরে তারা জামিন পান।
গত ২০ মার্চ নাজনীন ও জিনাতকে আসামি করে মামলার অভিযোগপত্র জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক কামরুল হাসান তালুকদার।
- ওসি মোয়াজ্জেমের গ্রেফতারে নুসরাতের পরিবার যা বলছে
- ‘অবৈধ সংসদে কেন এসেছেন’
- খালেদা জিয়ার জামিন না হলে আপিল বিভাগে যাব: মওদুদ
তিনি বলেন, আসামিদের নির্দয় ব্যবহার ও অশিক্ষকসুলভ আচরণ অরিত্রীকে আত্মহত্যার দিকে ঠেলে দিয়েছিল।
আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০৫ ধারায় অভিযোগ আনা হয়। এই ধারায় মৃত্যুদণ্ড, যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা ১০ বছর কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।