বিশেষ সাংগঠনিক সভা : সহযোগী সংগঠনের বিরুদ্ধে অভিযোগ

মত ও পথ রিপোর্ট

ছবি : সংগৃহিত

আওয়ামী লীগের বিশেষ সাংগঠনিক সভায় সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ উত্থাপন করেছেন জেলা ও মহানগর নেতারা।

সভায় তারা বলেন, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলো যখন কমিটি করে তখন জেলা বা মহানগর কমিটির সঙ্গে কোনো সমন্বয় করে না।

এছাড়া তাদের কমিটিতে স্বাধীনতাবিরোধী পরিবারের সদস্যদের স্থান দেয়া, কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি পালনে সহযোগিতা না করা, জেলা-মহানগর কমিটির নির্দেশনা অমান্য করে সংগঠন বহির্ভূত কর্মকাণ্ড চালানোর অভিযোগ করা হয়। দলের নির্ভযোগ্য সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

১৫ জুন (শনিবার) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা বিভাগের এই সাংগঠনিক সভা অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

সভায় সংশ্লিষ্ট এলাকায় প্রভাব বিস্তার, দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে বিভ্রান্তি ও গ্রুপিং সৃষ্টির জন্য সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীদের দায়ী করেন জেলা ও মহানগরের নেতারা।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে এ বিষয়ে কেন্দ্রের কাছ থেকে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনাও চান তারা। সভায় মহানগর, জেলা, থানা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের দলীয় নেতাকর্মীদের ডাটা আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে কেন্দ্রে পাঠাতে নির্দেশ দিয়েছে আওয়ামী লীগ।

সূত্র আরও জানায়, বিশেষ এই সাংগঠনিক সভায় ওবায়দুল কাদের দলের মধ্যকার কোন্দল, কলহ, গ্রুপিং দূর করার নির্দেশ দেন। সেই সঙ্গে দলীয় সভাপতির নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলতেও তৃণমূল নেতাদের নির্দেশ দেন তিনি।

এ সময় তিনি সভায় উত্থাপিত জেলা, মহানগর নেতাদের বিভিন্ন প্রস্তাব আওয়ামী লীগের আগামী কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে তোলা হবে বলে আশস্ত করেন। পাশাপাশি আগামী ২৩ জুন দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর কর্মসূচি যথাযথভাবে পালন করতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।

সভায় গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি চৌধুরী এমদাদুল হক, টাঙ্গাইল জেলা সভাপতি ফজলুর রহমান ফারুক, রাজবাড়ী জেলা সভাপতি জিল্লুর হাকিম, সাধারণ সম্পাদক কাজী কেরামত আলী, শরীয়তপুর জেলা সাধারণ সম্পাদক অনল কুমার দে, নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি আব্দুল হাই, মহানগর সভাপতি আনোয়ার হোসেন, মুন্সিগঞ্জ জেলা সভাপতি মো. মহিউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক শেখ লুৎফর রহমান, ঢাকা জেলা সভাপতি বেনজির আহমেদ, নরসিংদী জেলা সভাপতি নজরুল ইসলাম বীরপ্রতীক, মানিকগঞ্জ জেলা সভাপতি গোলাম মহিউদ্দিন, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি এ কে এম রহমত উল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান, দক্ষিণের সভাপতি আবুল হাসানাত ও সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, গাজীপুর জেলা সভাপতি আ ক ম মেজাম্মেল হক, মহানগর সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সরকার এবং কিশোরগঞ্জ জেলা সাধারণ সম্পাদক এম এ আফজল বক্তব্য রাখেন।

সভায় তারা নিজ নিজ জেলা ও মহানগর কমিটির সাংগঠনিক রিপোর্ট সংক্ষেপে উপস্থাপন করেন।

ঢাকা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক ও শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের সঞ্চালনায় সভায় দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন দফতর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাঁপা, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মারুফা আক্তার পপি, আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে