প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আনতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পাইলট ফজল মাহমুদের পাসপোর্ট ছাড়া কাতারে যাওয়ার ঘটনায় গঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।
১৫ জুন (জুন) মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলমের কাছে এই প্রতিবেদন জমা দেয়া হয় বলে আজ সোমবার গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোসাম্মাৎ নাসিমা বেগম।
প্রসঙ্গত ফিনল্যান্ড সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আনতে গত ৫ জুন রাতে বিমানের একটি ফ্লাইটে করে ঢাকা থেকে কাতারের উদ্দেশে রওনা দেন ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদ। কিন্তু সঙ্গে পাসপোর্ট না থাকায় দোহা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমানের স্টাফদের জন্য নির্ধারিত হোটেলে যেতে পারেননি তিনি। এরপর কাতার ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ তাকে আটক করেছে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
তবে ফজল মাহমুদ দাবি করেন, তাকে আটক বা গ্রেফতার করা হয়নি। ভুলবশত সঙ্গে পাসপোর্ট না নেয়ায় তিনি বিমানবন্দরের ট্রানজিট হোটেলে ছিলেন। পরে রিজেন্ট এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে ঢাকা থেকে ৬ জুন তার পাসপোর্ট পাঠানো হয়। সেই পাসপোর্ট নিয়ে ওই দিন সহজভাবে ইমিগ্রেশন পার হয়ে বিমান নির্ধারিত ক্রাউন প্লাজা হোটেলে গিয়ে ওঠেন তিনি।
এই ঘটনায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ গত ৭ জুন চার সদস্যবিশিষ্ট এই তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটিকে তিন কর্মদিবসের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়। পরে কমিটি আরও ৩ কর্মদিবস সময় বাড়িয়ে নেয়।
তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক বলেন, ‘গত শনিবার (১৫ জুন) আমরা অফিস করেছি, ওই দিনই প্রতিবেদন জমা দিয়েছি।’
তদন্তের বিষয়ে জানতে চাইলে নাসিমা বেগম বলেন, ‘এটা একটা সিম্পল বিষয় ছিল। উনি (পাইলট ফজল মাহমুদ) পাসপোর্ট রেখে গিয়েছিলেন কি-না বা কেন রেখে গিয়েছিলেন- এসবই তো। তিনি ভুল করে পাসপোর্ট রেখে গিয়েছিলেন এটা তো ক্লিয়ার।’
তিনি বলেন, ‘উনি পাসপোর্ট রেখে গেছেন, আরেকটা বিষয় হচ্ছে ইমিগ্রেশন অফিসার পাসপোর্ট দেখতে চাননি- এই দুটি বিষয় ক্লিয়ার। এ কারণেই ঘটনাটি ঘটেছে। এজন্য যে সুপারিশ রাখার, আমরা রেখেছি। তবে সুপারিশগুলো বলা যাবে না।’
আন্তঃমন্ত্রণালয় তদন্ত কমিটিতে সদস্য হিসেবে ছিলেন- স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের যুগ্মসচিব (রাজনৈতিক-৪) মো. হেলাল মাহমুদ শরীফ ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মুস্তাকীম বিল্লাহ ফারুকী। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের যুগ্মসচিব (রাজনৈতিক-১) মো. জাহাংগীর আলম কমিটিতে সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।