টাউন্টানের মাঠ আকারে ছোট হওয়ায় শুধু প্রতিপক্ষই না, বাংলাদেশ দলও একই সুবিধা পাবে। বরং বাউন্ডারি কাজে লাগানো টাইগার ব্যাটসম্যানদের কাছে সহজ হবে। এমনটাই জানিয়েছেন ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজন। মাঠ ছোট হওয়ায় বাড়তি সুবিধা পাবে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা।
ইংল্যান্ডের সবচেয়ে প্রাচীন স্টেডিয়ামগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো কুপার অ্যাসোসিয়েট কাউন্টি গ্র্যাউন্ড টাউন্টান। কাউন্টি ক্রিকেট দল সমার সেটের মাঠ এটি। ১৮৮২ সালে মাঠটি তৈরি করা হলেও, ঠিক ১০১ বছরের মাথায় হয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়।
১৯৮৩ সালে বিশ্বকাপের ম্যাচ আয়োজন হয়েছে এখানে। মজার ব্যাপার হলো এখানে হওয়া মাত্র ৫টি ওয়ানডের সবগুলোই বিশ্বকাপের ম্যাচ। বাংলাদেশ-উইন্ডিজের ম্যাচের পর লম্বা সময় অপেক্ষা করতে হবে পরবর্তী ওয়ানডের জন্য। দেখতে দারুণ কুপারের আসন সংখ্যা ৭ হাজারের কাছাকাছি।
- আরও পড়ুন >> ওয়ার্ল্ড আরচারিতে বাংলাদেশের প্রথম পদক
বিশ্বকাপের ১১টি ভেন্যুর মধ্যে সবচেয়ে আকারে ছোট ভেন্যু টাউন্টান। যে কারণে বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজের ম্যাচের আগে আলোচনায় মাঠটি। বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রতিপক্ষের একাধিক পাওয়ার হিটার ব্যাটসম্যান থাকায় বাড়তি সুবিধা পাবে। তবে মাঠ আকারে ছোট হওয়ায় বরং সুবিধা হবে বাংলাদেশেরর ব্যাটসম্যানদের জন্যই। কারণ ক্যারিবীয়দের তুলনায় পাওয়ার হিটে পিছিয়ে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। তাই ছোট বাউন্ডারি কাজে লাগাতে পারলে বাজিমাত করবে কিন্তু, বাংলাদেশই। আর প্রতিপক্ষকে আটকাতে হবে ভিন্ন দক্ষতায়। তাই মাঠের আকার মাথায় রেখে ভিন্ন পরিকল্পনা করেছেন ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজন।
তিনি বলেন, ওরা পাওয়ার হিটিং ক্রিকেট খেলে। ওদের মেইন শক্তিই হলো পাওয়ার হিটিং। ওদের কোথায় আটকাতে হবে সেটা আমরা অবশ্যই জানি। এত বছর ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছি, আমাদের এই ছেলেরাই ওদের বিপক্ষে খেলেছে। গেইল বলেন, লুইস বা রাসেল যার কথাই বলেন না কেন। আমরা জানি ওদের শক্তি কোনটা এবং ওদের দুর্বলতা কি আছে। আমরা যদি ওদের দুর্বলতা নিয়ে কাজ করতে পারি। পরিকল্পনা যদি কাজে লাগাতে পারি তাহলে আমার মনে হয় ওদের আটকানো সম্ভব।
পাকিস্তানের পর উইন্ডিজ দল সুজনের দৃষ্টিতে আনপ্রেডিক্টেবল। তাই ব্যাটসম্যানদের সাথে বোলারদেরও ভূমিকা রাখার পরামর্শ দিলেন খালেদ মাহমুদ।
সুজন বলেন,’ওয়েস্ট ইন্ডিজ অনেক দিন তিনশ’র বেশি করে আবার দুইশও করে। আমরা যদি পরিকল্পনা কাজে লাগিয়ে সঠিক জায়গায় বল করতে পারি তাহলে আমার মনে সমস্যা হবে না। যদিও ওদের পাওয়ার হিটার আছে অনেকগুলো কিন্তু আমাদের অনেক স্কিলড ক্রিকেটার আছে। আমি মনে করি মাঠ ছোট হওয়ার সুবিধা দুই দলের জন্য সমান থাকবে।’
লন্ডনের ওভাল, কার্ডিফ ব্রিষ্টলের মাঠের স্ট্রেট বাউন্ডারি আকারে ছোট হলেও, টাউন্টানের স্টেডিয়ামের স্ট্রেট বাউন্ডারি আকারে বড়। কিন্তু, টাউন্টানের স্কয়ার বাউন্ডারি আকারে ছোট। তাই বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের বিভ্রান্ত করতে ক্যারিবীয় বোলাররা একাধিক বাউন্ডারি মারবে, আর ঐ সুযোগে স্কয়ার দিয়ে প্রচুর রান তোলার সুযোগ থাকছে কিন্তু, টাইগার ব্যাটসম্যানদের।