ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় বিয়ে-পরবর্তী অনুষ্ঠানে দাওয়াত না দেওয়ায় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের ৩৮ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। পুলিশ ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত উপজেলার হামিরদী ইউনিয়নের বড় মুচকুরনী গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এত দুই পক্ষের লোকজন ঢাল, সড়কি, কাতরা, বল্লমসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র ও ইটের টুকরা নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হন। দফায় দফায় পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার মধ্যে দিয়ে এ সংঘর্ষ চলতে থাকে। সংঘর্ষে দুই পক্ষের অন্তত ৩৮ জন আহত হন।
তাঁদের মধ্যে ২৬ জনকে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। গুরুতর আহত ১ জনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। অন্যরা স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
- আরও পড়ুন >> গাইবান্ধায় ব্রহ্মপুত্রে নৌকাডুবিতে নারীর মৃত্যু
হামিরদী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শামসুল হক বলেন, বড় মুচকুরনী গ্রামে স্থানীয়ভাবে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মিরাজ মাতুব্বরের সঙ্গে মোকসেদ খালাসীর বিরোধ আছে। একই গ্রামের ছমির ভূঁইয়ার মেয়ের বিয়ে-পরবর্তী ভোজ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় শুক্রবার দুপুরে। ওই অনুষ্ঠানে মিরাজ মাতুব্বরের সমর্থকদের দাওয়াত দেওয়া হলেও দাওয়াত দেওয়া হয়নি মোকসেদ খালাসীর সমর্থকদের। এই ঘটনা নিয়ে শুক্রবার বিকেল থেকেই ওই গ্রামে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এর জেরে রোববার সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত দুই পক্ষের মধ্যে এ সংঘর্ষ ঘটে।
ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী সাইদুর রহমান বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৮টি ফাঁকা গুলি ছোড়ে।
তিনি বলেন, বর্তমানে ওই এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে রোববার সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত কোনো পক্ষই এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ করেনি।