মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আজ সোমবার বিকালে আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের প্রতিনিধিদের বৈঠকের পর কলকাতার আন্দোলনরত চিকিৎসকরা ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন।
এর মাধ্যমে দীর্ঘ ৭ দিনের অচলাবস্থার পর স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরছে কলকাতার সরকারি হাসপাতালগুলো। খবর এনডিটিভি ও আনন্দবাজারের।
কলকাতার এনআরএস মেডিকেল কলেজে চিকিৎসক লাঞ্ছিতের প্রতিবাদে গত বৃহস্পতিবার থেকে আন্দোলন করছিলেন চিকিৎসকরা। শনি ও রোববার ভারত জুড়ে প্রতিবাদ কর্মসূচিও পালনের পাশাপাশি সোমবার ভারত জুড়ে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ)।
এ নিয়ে শুরু থেকে সমঝোতার চেষ্টা করছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পিজি হাসপাতালে গিয়ে চার ঘণ্টার মধ্যে কাজে না যোগ দিলে এসমা জারির হুমকি দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই হুমকিতে কর্ণপাত না করে পাল্টা গণইস্তফার ঘোষণা দিয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। সমর্থন করেছিলেন সরকারি হাসপাতালের সিনিয়র চিকিৎসকরাও।
শুক্রবার দুপুর থেকে জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনের গর্ভগৃহ নীলরতন সরকার মেডিকেল কলেজের ১০০ জন চিকিৎসক গণইস্তফা দেন।
সোমবারের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ১২ দফা লিখিত দাবি পেশ করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। প্রতিটি দাবিই আলাদা আলাদা করে তারা বিস্তারিত বলেন মুখ্যমন্ত্রীর সামনে।
দাবিগুলোর মধ্যে, হাসপাতালে চিকিত্সকদের নিরাপত্তায় পুলিশের সংখ্যা এবং সক্রিয়তা বাড়ানোর দাবি যেমন ছিল, তেমনই ছিল রোগীদের অভাব অভিযোগের মুখোমুখি হওয়ার জন্য হাসপাতালের গ্রিভ্যান্স সেল বা অভিযোগ গ্রহণ কেন্দ্রগুলিকে সামনে নিয়ে আসার দাবিও।
কলকাতার ঘটনায় চিকিৎসকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে নতুন আইন করতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছেও দাবি জানিয়েছেন আইএমএ নেতারা।
- ক্যারিবিয়ান ব্যাটিং তাণ্ডবে টাইগারদের লক্ষ্য ৩২২
- দুই মামলায় খালেদার জামিন বিষয়ে আদেশ কাল
- ৪০ পয়সা লাগবে বিকাশ-রকেটের ব্যালেন্স দেখতে
হাসপাতাল চত্বরকে ‘সেফ জোন’ হিসাবে চিহ্নিত করারও দাবি করেছে সংগঠনটি।
চিকিৎসকদের কর্মবিরতিতে চরম দুর্ভোগে পড়েছিলেন বাংলাদেশ থেকে চিকিৎসা করাতে যাওয়া হাজার হাজার রোগী।