ট্রাইব্যুনাল পুরান ঢাকার আজিমপুরে ‘জঙ্গি আস্তানায়’ অভিযানে নিহত জেএমবির অন্যতম সমন্বয়ক তানভীর কাদেরীর স্ত্রীসহ তিন নারী জঙ্গির বিরুদ্ধে চার্জগঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু করেছে।
রোববার ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান এ চার্জগঠনের আদেশ দিয়ে ২৪ জুলাই সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ঠিক করেন।
তিন আসামি হলেন- তানভীর কাদেরীর স্ত্রী আবেদাতুল ফাতেমা ওরফে খাদিজা, নুরুল ইসলাম ওরফে মারজানের স্ত্রী আফরিন ওরফে প্রিয়তি এবং বাশারুজ্জামান ওরফে চকলেটের স্ত্রী শায়লা আফরিন।
মামলায় আসামি তানভীর কাদেরী মারা যাওয়ায় এবং সন্দেহমূলক আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার শাহনাজ আক্তার রুমিকে তদন্ত কমকর্তার আবেদন অনুযায়ী ট্রাইব্যুনাল গত ১৩ মে অব্যাহতি দেন।
২০১৮ সালের ১১ জুন কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. আহসানুল হক ওই আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটে আসামি তানভীর কাদেরীর ছেলে তাহরীম কাদেরী ওরফে রাসেলের বয়স ১৪ বছর হওয়ায় তার বিরুদ্ধে শিশু আইনে চার্জশিট দাখিল করা হয়। তার বিচার শিশু আদালতে হবে।
মামলাটিতে ২০১৬ সালের ১৭ অক্টোবর ওই তিন নারী এবং ওই বছর ২২ সেপ্টেম্বর রাসেল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ১০ সেপ্টেম্বর পুরান ঢাকার আজিমপুরে বিজিবি ২ নম্বর গেটের সামনে একটি বাসার দ্বিতীয় তলায় জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালায় পুলিশ। জঙ্গিদের বোমা, ছুরিকাঘাত ও মরিচের গুড়া নিক্ষেপে ৫ জন গুরুতর আহত হন।
- সংবিধানে পুরুষের সাথে নারীর সমঅধিকার প্রদান করা হয়েছে : আইনমন্ত্রী
- ভারতের কাছে পাত্তাই পেল না পাকিস্তান
পরবর্তী সময়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দরজা ঠেলে ভেতরে প্রবেশ করলে তাহরিম কাদেরী ওরফে রাসেল (১৪) পুলিশের ওপর ছুরি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে। পুলিশ তাকে সঙ্গে সঙ্গে গ্রেপ্তার করে। বাসায় ঢুকে প্রথম কক্ষে অজ্ঞাত পুরুষকে (তানভীর কাদেরী) গভীরভাবে ছুরিকাঘাতে মৃত অবস্থায় এবং দুই জঙ্গি নারীকে ছুরিকাঘাতে আহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। খবর পেয়ে সোয়াট টিম অপর একটি দরজা খুলে জুনায়রা ওরফে পিংকি (৮) ও সাবিহা জাহান (১) নামের দুই শিশুকে উদ্ধার করে।
ওই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে রাজধানীর লালবাগ থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা করেন।