মিসরের সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে গোপনে কায়রোতে দাফন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে তাকে দাফন করা হয়।
মঙ্গলবার মোহাম্মদ মুরসির ছেলে আহমেদ মুরসি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এ তথ্য জানান।
ফেসবুকে পোস্টে তিনি জানান, পরিবারের পক্ষ থেকে মোহাম্মদ মুরসির নিজ শহর সারকিয়া প্রদেশে তার দাফনের আবেদন জানানো হলেও তা প্রত্যাখ্যান করে কর্তৃপক্ষ। কায়রোর নাসার শহরে মুসলিম ব্রাদারহুডের প্রাক্তন নেতাদের পাশে তাকে দাফন করা হয়েছে।
আহমেদ বলেন, টোরা কারা-হাসপাতালে আমরা তাকে গোসল করিয়েছি। সেখানেই তার জানাজার নামাজ আদায় করেছি।
সোমবার শুনানির জন্য আনার পর আদালত কক্ষেই মুরসির মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৬৭ বছর।
মোহাম্মদ মুরসি আদালতে বিচারকের কাছে কথা বলার অনুমতি চাইলে তাকে অনুমতি দেওয়া হয়। প্রায় ২০ মিনিট বক্তব্য রাখার পর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এসময় তাকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মোহাম্মদ মুরসি তার বিরুদ্ধে আনা এক গুপ্তচরবৃত্তির মামলায় হাজিরা দিচ্ছিলেন। ফিলিস্তিনি হামাস গোষ্ঠীর সঙ্গে সন্দেহজনক যোগাযোগ রাখার অভিযোগ এনে ওই মামলা করা হয়েছিল।
মোহাম্মদ মুরসি মিসরের ইতিহাসে প্রথম নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট। ২০১২ সালে অনুষ্টিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে প্রেসিডেন্টের আসনে বসেন তিনি। এরপর ২০১৩ সালে এক বিক্ষোভের জের ধরে মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করেন দেশটির সেনা প্রধান আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি।
সূত্র : রয়টার্স