দেশে পাঁচ ধাপে অনুষ্ঠিত উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে ৩১৭ জন ও স্বতন্ত্র ১৪৯ জন, জাতীয় পার্টির ৩ জন ও জেপির ১ জন চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন।
এ নির্বাচনে দেশের অন্যতম প্রধান দল বিএনপি অংশ না নিলেও দলটির অনেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেছেন।
উপজেলা নির্বাচনে শেষ ধাপের ভোট শেষ হয় গতকাল মঙ্গলবার। এদিন চেয়ারম্যান পদে ৩৮ দশমিক ৬২ শতাংশ ভোট পড়েছে। পঞ্চম ধাপে ২২ উপজেলায় ভোট হয়, এর মধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান হয়েছেন দুজন।
নির্বাচন কমিশনের জনসংযোগ পরিচালক এস এম আসাদুজ্জামান বুধবার সাংবাদিকদের জানান, শেষ ধাপে ২৭ লাখ ৮৮ হাজার ৭০৭ জন ভোটারের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ১০ লাখ ৭৬ হাজার ৮৭৯ জন ভোট দিয়েছেন। এটা মোট ভোটারের ৩৮ দশমিক ৬২ শতাংশ।
জানা যায়, প্রথম ধাপে ভোটের হার ছিল ৪৩ দশমিক ৩২ শতাংশ; দ্বিতীয় ধাপে তা কমে দাঁড়ায় ৪১ দশমিক ২৫ শতাংশে। তৃতীয় ধাপে ৪১ দশমিক ৪১ ও চতুর্ধ ধাপে ৩৬ দশমিক ৫০ শতাংশ। সব মিলিয়ে পাঁচ ধাপে গড়ে এবার ভোট পড়েছে ৪০ দশমিক ২২ শতাংশ।
একাদশ সংসদ নির্বাচনের অর্ধেক ভোটের হার উপজেলা নির্বাচনে। ৩০ ডিসেম্বরের ভোটে ৮০ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছেন সিইসি কে এম নূরুল হুদা। ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে গড়ে ৬১ শতাংশ ভোট পড়েছিল। ২০০৯ সালের নির্বাচনে ভোটের হার ছিল ৬৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ।
পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দেশের দুই-তৃতীয়াংশ উপজেলায় চেয়ারম্যান হয়েছেন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। নৌকা প্রতীক তিন শতাধিক উপজেলায় জয়ী হলেও দলটির বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্ররা মিলে পেয়েছেন তাদের অর্ধেক।
পাঁচ ধাপের বাইরে নানা কারণে স্থগিত কয়েকটি উপজেলার ভোট ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। ১০, ১৮, ২৪ ও ৩১ মার্চ ও ১৮ জুন- পাঁচ ধাপে ৪৭০টির বেশি উপজেলায় ভোট শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন।
এর মধ্যে ১১৫টি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। ৪৯২ উপজেলার মধ্যে বাকিগুলোয় মেয়াদোত্তীর্ণ বিবেচনায় ভোট করবে ইসি।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের ৩১৭ জন নৌকা প্রতীকে জয় পান। স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জিতেছেন ১৪৯টি উপজেলায়; তাদের অধিকাংশই আওয়ামী লীগ নেতা। এছাড়া জাতীয় পার্টির তিনজন ও জেপির একজন চেয়ারম্যান পদে জিতেছেন।
ফলাফল-দলভিত্তিক
পঞ্চম ধাপে আওয়ামী লীগের ১৩ প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। এর মধ্যে ৮ জন ভোটে ও ৫ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। স্বতন্ত্র প্রার্থী জিতেছেন ৯ জন।
চতুর্থ ধাপে আওয়ামী লীগের ৮৯ প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। এর মধ্যে ৪৯ জন ভোটে ও ৪০ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। জাতীয় পার্টি-জেপি থেকে চেয়ারম্যান পদে একজন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ৩২ জন ভোটে জিতেছেন এ ধাপে।
তৃতীয় ধাপে আওয়ামী লীগের ৮৩ জন (এর মধ্যে ভোটে জিতেছেন ৫২ জন, বাকিরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়), জাতীয় পার্টির একজন, স্বতন্ত্র ৩৮ জন নির্বাচিত হন।
- খালেদা জিয়ার কয়লাখনি দুর্নীতি মামলার চার্জশুনানি পেছাল
- পরীক্ষামূলক স্বাস্থ্য বীমা কার্যক্রম শুরু হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
দ্বিতীয় ধাপে আওয়ামী লীগের ৭৪ জন নির্বাচিত হন; এর মধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ২৩ জন। জাতীয় পার্টির দুজন ও স্বতন্ত্র ৪৪ জন প্রার্থী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন দ্বিতীয় ধাপে।
প্রথম ধাপে চেয়ারম্যান পদে ৫৮ জন নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের মনোনয়নে; এর মধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১৬ জন। ২৩ উপজেলায় স্বতন্ত্র প্রার্থীরা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।