আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দল শরিক ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রার পথে এখন কাঁটা হয়ে রয়েছে আর্থিক খাতের দুর্গতি। ব্যাংক খাতে লুটপাট, নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খলা কারও অবিদিত নয়। ঋণখেলাপির দায়ে ব্যাংকগুলো ন্যুজ্ব। চলছে তারল্য সংকট। করের টাকা দিয়ে ব্যাংকের ঘাটতি মূলধন পূরণ করার জন্য বরাদ্দ এবারেও রাখা হয়েছে বাজেটে।
আজ বুধবার জাতীয় সংসদে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বাধীন ভূমিকা দূরে থাক, ব্যাংকগুলোকে কার্যকর নজরদারি করতেও অক্ষমতার পরিচয় দিচ্ছে। নিজের অর্থই তারা সামাল দিতে পারেনি এবং তার কোনো জবাবদিহি দেশবাসী পায়নি।
মেনন বলেন, রাজনৈতিক বিবেচনায় ব্যাংক প্রদান, ব্যাংক মালিকদের আবদারে ব্যাংক আইন সংশোধন করে ব্যাংকগুলোকে পারিবারিক মালিকানার হাতে তুলে দেওয়া, একই ব্যক্তি একাধিক ব্যাংকের মালিক বনে ব্যাংক খাতকে নিয়ন্ত্রণ করা, ব্যাংক মালিক অ্যাসোসিয়েশনের মাধ্যমে সিআরআর নির্ধারণ করা-এসবই ব্যাংক খাতে এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী।
১৪ দলের অন্যতম এই শীর্ষ নেতা বলেন, অর্থমন্ত্রী ব্যাংক খাতে সংস্কারের জন্য কিছু কথা বলেছেন। তাও ভবিষ্যতবাচক। ব্যাংক কমিশন গঠনের প্রস্তাবকেও তিনি আলোচনা-সাপেক্ষ রেখে দিয়েছেন। অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন আর এক টাকাও ঋণখেলাপি হবে না। কিন্তু এক মাসের মধ্যে ঋণখেলাপির পরিমাণ ১৭ হাজার কোটি টাকা থেকে বেড়ে ১ লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। যা এই বাজেটের পরিমাণের এক পঞ্চমাংশ। আর ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি কীভাবে নির্দিষ্ট হবে তা জানা নেই।
- খালেদা জিয়ার কয়লাখনি দুর্নীতি মামলার চার্জশুনানি পেছাল
- খাশোগি হত্যায় সৌদি আরব দায়ী : জাতিসংঘ
- পরীক্ষামূলক স্বাস্থ্য বীমা কার্যক্রম শুরু হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
ওয়ার্কার্স পার্টি সভাপতি বলেন, সাবেক অর্থমন্ত্রী যেমন ব্যাংক সংস্কার করতে পারেননি, এবারেও এনিয়ে যথেষ্ঠ বেগ পেতে হবে। কারণ ওরাই অর্থনীতির বর্তমান নিয়ন্ত্রক হয়ে ওঠেছে। বাজেটের ঘাটতি অর্থ পূরণে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ৪৭ হাজার ৩৬৪ টাকা সংগ্রহের কথা বলা হয়েছে। এতে ব্যাংকের তারল্য সংকট আরও বাড়বে। বেসরকারি বিনিয়োগ আরও কমে যাবে। কর্মসংস্থান হবে না। এসবই একই সূত্রে গাঁথা।