প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী ইমরান আহমেদ বাংলাদেশ থেকে গত বছর ৭ লাখ ৩৪ হাজার ১৮১ জন কর্মী বিদেশে গেছেন বলে জানিয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার সংসদে সরকারি দলের নূর মোহাম্মদের এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান প্রতিমন্ত্রী।
প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১৯১৪ সালে বিদেশগামী কর্মীর সংখ্যা ছিল চার লাখ ২৫ হাজার ৬৮৪ জন, ২০১৫ সালে পাঁচ লাখ ৫৫ হাজার ৮৮১ জন, ২০১৬ সালে সাত লাখ ৫৭ হাজার ৭৩১ জন এবং ২০১৭ সালে এ সংখ্যা ছিল ১০ লাখ আট হাজার ৫২৫ জন।
ইমরান আহমেদ বলেন, বিদেশগামী কর্মীদের অভিবাসন ব্যয় যৌক্তিক পর্যায়ে হ্রাস করে শ্রম বাজার সম্প্রসরণে কাজ করে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে অভিবাসন ব্যয় হ্রাসে সরকার বৈদেশিক কর্মসংস্থান নীতি ২০১৬ প্রণয়ন করা করেছে। নীতিমালায় অধিকহারে দক্ষ কর্মী প্রেরণসহ প্রধান প্রধান দেশসমূহের দেশভিত্তিক সর্বোচ্চ অভিবাসন ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে।
প্রতি উপজেলা থেকে বছরে বিদেশে যাবে এক হাজার
এদিকে সরকারি দলের আনোয়ারুল আবেদীনের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, অভিবাসনে পিছিয়ে পড়া জেলাসমূহকে অভিবাসন প্রক্রিয়ায় উৎসাহিত করতে প্রত্যক উপজেলা থেকে বছরে গড়ে এক হাজার কর্মী বিদেশে প্রেরণের কর্ম পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ থেকে এ পর্যন্ত ১৭৩টি দেশে কর্মী প্রেরণ করা হচ্ছে। উপজেলা ভিত্তিক বিদেশে গমন করা বা ফেরত কর্মীদের সঠিক সংখা নির্ধারণ করতে ভবিষ্যতে পৃথক ডাটাবেজ প্রণয়নের পরিকল্পনা রয়েছে।
- ভারতে পাহাড় থেকে বাস খাদে, নিহত ২৫
- ডিআইজি মিজানের সম্পত্তি ক্রোক ও ব্যাংক হিসাব জব্দের আদেশ
- অভিনয়শিল্পী সংঘের নির্বাচন আদালতের নির্দেশে স্থগিত
তিনি সরকারি দলের মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, অধিকহারে দক্ষ কর্মী বিদেশে প্রেরণের বিষয়টি নিশ্চিত করতে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়াধীন বিএমইটির কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সংখ্যা ৩৮ থেকে ৭০টিতে উন্নীত করা হয়েছে। এসব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ৫৫টি কর্মসংস্থান উপযোগি স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদি কোর্সে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।