ঝলমলে রোদ দিয়ে শুরু হয়েছে ট্রেন্ট ব্রিজের সকাল। দারুণ এক ম্যাচ খেলতে মুখিয়ে আছে বাংলাদেশ দল। ২০১৫ বিশ্বকাপের পরে বাংলাদেশ সব বড় দলের বিপক্ষেই ওয়ানডে সিরিজ খেলেছে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২০১১ সালের পর ওয়ানডে সিরিজ খেলা হয়নি মাশরাফিদের। বৈশ্বিক আসরই যেন ভরসা। মাশরাফিদের তাই এ ম্যাচে নিজেদের প্রমাণের পালা। গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে টস হেরে বোলিং পেয়েছে বাংলাদেশ।
টাইগার একাদশে এ ম্যাচে দুই পরিবর্তন। ইনজুরির কারণে সাইফউদ্দিনের জায়গায় এ ম্যাচে ফিরেছেন রুবেল হোসেন। ইনজুরিতে আছেন মোসাদ্দেক হোসেনও। তার জায়গায় একাদশে জায়গা পেয়েছেন সাব্বির রহমান। অস্ট্রেলিয়া একাদশেও এ ম্যাচে আছে পরিবর্তন। লেগ স্পিনার অ্যাডাম জাম্পা ফিরেছেন এ ম্যাচে। ইনজুরি থেকে ফেরা মার্কোস স্টইনিস আছেন একাদশে। দলে আছেন কুল্টার নাইলও। দল থেকে বাদ পড়েছেন শন মার্শ, বেহরেনড্রফ এবং কেন রিচার্ডসন।
২০০৫ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এই ইংল্যান্ডে প্রথম জয় পায় বাংলাদেশ। এবার আবার ইংল্যান্ডের ট্রেন্ট ব্রিজে অস্ট্রেয়িলাকে কার্ডিফের স্বাদ দিতে চান সাকিব-তামিমরা। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ভালো খেলতে সিনিয়র ক্রিকেটারকে দায়িত্ব নিতে হবে। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা সাকিবকে নিয়ে অবশ্য চিন্তায় আছে অজিরা।
- আরও পড়ুন, সাকিবকে নিয়ে ভয়ে আছে অস্ট্রেলিয়া
ট্রেন্ট ব্রিজের উইকেট অবশ্য শুষ্ক। ব্যাটিং সহায়ক হবে বলেই মনে হচ্ছে। অজিদের আটকানোর চ্যালেঞ্জ তাই নিতে হবে বাংলাদেশ দলকে। রানও তুলতে হবে বেশ বড়। তবে বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক সাকিব আছেন টাইগার একাদশে। চলতি বছরে ইনজুরির কারণে পুরোটা সময় খেলতে পারেননি সাকিব। তারপরও এক পঞ্জিকাবর্ষে এক হাজার রানের কাছে আছেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাত্র ২০ রান করলেই এক হাজার রান হবে তার।
বাংলাদেশ একাদশ : তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, লিটন দাস, মাহমুদুল্লাহ, সাব্বির রহমান, মেহেদি মিরাজ, মাশরাফি মর্তুজা, রুবেল হোসেন, মুস্তাফিজুর রহমান।
অস্ট্রেলিয়া একাদশ : ডেভিড ওয়ার্নার, অ্যারন ফিঞ্চ, উসমান খাজা, স্টিভ স্মিথ, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, মার্কোস স্টইনিস, অ্যালেক্স কেরি, নাথান কুল্টার নাইল, প্যাট কামিন্স, মিশেল স্টার্ক, অ্যাডাম জাম্পা।